ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

চকরিয়ায় দূর্নীতিবাজ তহসিলদার মনছুরের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় খাস জমি বিক্রির অভিযোগে ভূমি কর্মকর্তা আবুল মনছুরের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে বিএমচর ইউনিয়নের ভুক্তভোগী পাচ শতাধিক পরিবারের লোকজন। ২৯ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৪টায় বিএমচরে স্টোর স্টেশনে এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। মানববন্ধনে হাজার-হাজার নারী পুরুষ উপস্থিত থেকে তহশিলদার মনছুরের দূর্নীতি, জালিয়াতির বিরুদ্ধে শাস্তি দাবী করেন।
এদিকে তার হুমকি-ধমকিতে বিএমচর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ শতাধিক ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন। মানববন্ধন পরবর্তী এক বিক্ষোভ মিছিল করেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন। এসময় মনছুরের শাস্তির দাবী করে শ্লোগান দেন তারা।

বক্তারা বলেন, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের বাসিন্দা মকছুদ আহমদ চৌধুরী বিএমচর ইউনিয়নের ভেওলা মানিকচর মৌজার ৪৫ একর ৪৫ শতক জমি বিগত ৫১/১৯৭২-৭৩ সালে সরকারের বরাবরে সারেন্ডার করেন। ওই জমি আবারো তার স্ত্রী ও মেয়ের জামাইয়ের নামে বিএস রেকর্ড হয়। পরে বিবিধ মিচ (গোপনীয় জমি উদ্ধার) মামলা নং-৪৭/৯৪-৯৫ ইং মূলে ওই জমি ১ নম্বর খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত জমিতে মাতামুহুরী নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৫ শতাধিক পরিবারে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। উক্ত জমির মালিকগণ তখন সময়ে টাকার বিনিময়ে প্লট আকারে স্থানীয় লোকজনকে ভোগ দখলে দেন।

ওই জমিতে লোকজনের বসবাসের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউিনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ বিভিন্ন ধরনের জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্টান রয়েছে। তবে পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসীলদার মো. আবুল মনছুরসহ চার ব্যক্তির নামে জালিয়াতির মাধ্যমে ওই জমি নিয়ে আমমোক্তারনামা সম্পাদন করেন। জমি ক্রয়ের পর থেকে ওই ভূমিদস্যু গ্রæপ বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। তাদের যোগসাজসে বিপুল টাকার বিনিময়ে এই জমি প্লট আকারে বিক্রিতে মেতেছে। এতে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে অন্তত ৫ হাজার নারী পুরুষ।

ভুক্তভোগী আবু হানিফ চৌধুরী বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা এই খাস জমি জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একসনা লিজ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে ভোগ দখলে আছি। পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসীলদার আবুল মনছুর একজন সরকারী কর্মচারী হয়ে এলাকার ৫শতাধিক পরিবারের লোকজনের ভোগ দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদে মেতেছে। আমরা এলাকাবাসী এই ভূমিদস্যু দূর্নীতিবাজ জালিয়াত চক্রের হোতা আবুল মনছুরকে চাকুরিচ্যুত করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

সাবেক মেম্বার মো. আলমগীর বলেন, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকতা আবুল মনছুর খাস জমি কিভাবে নিজের নামে আমমোক্তার নামামূলে ক্রয় করেন। জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি এই দলিল সম্পাদন করে অর্ধশত বছরের দখলীয় জমি বিক্রি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,সিরাজুল মোস্তাফা সেলিম, আবু হানিফ চৌধুরী, ফজল করিম, মো. আলমগীর, মিজানুর রহমান ও মো. এনামুল হক মেম্বার।

পাঠকের মতামত: