ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছরের প্রথমদিনে বই বিতরণ উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ সালের প্রথমদিন ১ জানুয়ারী শনিবার ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (এসএমসি) কমিটির সভাপতি সাংবাদিক এম জিয়াবুল হকের সভাপতিত্বে বই বিতরণ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সম্মাণিত চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী মহোদয়। সভার শুরুতে সুচনা বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিএম রুকুনউদ্দিন।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শাহরিয়ার আওরঙ্গজেব চৌধুরী তারেক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মুহাম্মদ নুরুস শফি, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক এএম ওমর আলী, চকরিয়া পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শাহাব উদ্দিন সওদাগর, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সহ-সম্পাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষক সুচিত্রা চৌধুরী, সহকারি শিক্ষক পারভীন আক্তার, সহকারি শিক্ষক জেসমিন আক্তার, সহকারি শিক্ষক মিশোরী জন্নাত মিশু এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত লেখাপড়ার মধ্যদিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে বর্তমান সরকার। সেইজন্য সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রনোদনা কর্মসূচি দিচ্ছেন, উপকরণ সামগ্রী দিচ্ছেন, তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছেন। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করছেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাসে বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিয়ে একটি মাইলফলকের সুচনা করেছেন। এইধারা অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার অগ্রগতি উন্নয়নের ক্ষেত্রেও। তিনি উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার যেমন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন, শিক্ষকমন্ডলীও সুন্দর লেখাপড়া নিশ্চিতে কাজ করছেন, তেমনি অভিভাবক সবাইকে শিশু সন্তানেরা বিদ্যালয়ে আসছে কী না, সঠিকভাবে পাঠ নিচ্ছে কী না সেই ব্যাপারে সজাগ ভুমিকা পালন করতে হবে। অভিভাবকরা সচেতন হলে অবশ্যই শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় সুশিক্ষিত নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী এসময় শিক্ষকদের নিজের অবস্থান থেকে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান্নোনয়ন, বিদ্যালয়কে পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগ গ্রহন, শিক্ষার্থীদেরকে সুন্দর পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিত ও ক্লাস নির্ভর লেখাপড়া নিশ্চিতে কাজ করতে আহবান জানান। ##

 

 

পাঠকের মতামত: