ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

চকরিয়ায় অশান্তিতে দিন কাটাচ্ছে শান্তির ঘাটের জেলেরা

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া ::
চকরিয়ার ঐতিহ্যবাহী জলদাশ সম্প্রদারের বসবাস ডুলাহাজারা ইউনিয়নের শান্তিরঘাট এলাকায়। সাগর থেকে মাছ আহরণ করে বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করে তারা। জনগণের আমিষের চাহিদা মেটাতে অবদান রাখছে এই জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন।
কিন্তু সামাজিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে এসব জেলেরা পেশাটির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। দিনদিন চোর, ডাকাত ও প্রভাবশালী অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে তারা।
মাছ আহরণের উপকরণ জাল, নৌকা চুরি-ছিনতাইর কারণে বেশকিছু জেলে ইতোমধ্যে পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। বাকী যারা আছে তারাও অনেক সময় প্রভাবশালীদের ভয় ও আতংকের দুঃখকষ্ট নিরবে হজম করতে হচ্ছে। গেল ডিসেম্বরের ইউপি নির্বাচনেও প্রার্থী সমর্থনের বিষয় নিয়ে চলে শান্তিরঘাট জেলেদের উপর নিরব নির্যাতন। নির্বাচনের পরদিন ভোরে তাদের কয়েকটি জাল বাড়ির অদূরে রেল প্রকল্পের ব্রিজের নিচে পাওয়া যায়। এ বিষয়ে তারা কাউকে কোন অভিযোগ দেয়নি। তবে খবর পাওয়ার পর সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
এসময় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে শান্তিরঘাটের জেলে পরিবারগুলো সাগর থেকে মাছ আহরণ করে সাধারণ দিনাতিপাত করছে। জাল নৌকাই হলো তাদের জীবনযাত্রার একমাত্র অবলম্বন।
সম্প্রতি সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি জেলেদের জাল, নৌকা, ভিটে বাড়ি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বসতির জায়গা কেড়ে নিতেও প্রচেষ্টায় রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। গেল ইউপি নির্বাচনের পরদিন তাদের জালগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। আশপাশের মানুষের আনাগোনা টের পেয়ে বাড়ির অদূরে নদীতে এসব জাল ফেলে দিয়ে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শান্তিরঘাট এলাকার বাসিন্দা মৃত নগরবাসী দাশের ছেলে মাদব দাশ জানান, নির্বাচনের পরদিন আমাদের জালগুলো এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া যায় এবং কয়েকটি জাল পাওয়া বাড়ি থেকে অনেক দুরে ব্রিজের নিছে। ধারণা করছি আমাদের নির্বাচনী সমর্থন নিয়ে কেউ পরাজিত হয়ে প্রতিহিংসা মূলক আমাদের এই ক্ষয়ক্ষতির চেষ্টা করেছে। কে বা কারা জড়িত আমরা দেখিনি। তবে আমরা বিভিন্ন দীক দিয়ে নির্যাতনের মধ্যে আছি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা পেলে তাদের কাজের গতি আরো বাড়াতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: