ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া, মাতামুহুরি ও পেকুয়ার ১৬ ইউনিয়নে নৌকার মাঝি হতে চায় ৭০ চেয়ারম্যান প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, মাতামুহুরি ও পেকুয়া উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার সম্পন্ন হয়েছে। ১৬টি ইউনিয়নে ৭০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তথা নৌকার মাঝি হতে চায়। তাদের সবার সাক্ষাৎকার নেন জেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড।

রোববার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, শাহ আলম চৌধুরী রাজা, রেজাউল করিম, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, ইউনুছ বাঙালি, হেলাল উদ্দিন কবির, এড. তাপস রক্ষিত, এম.এ মনজুর, জিয়া উদ্দিন, মেয়র মকসুদ মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, উম্মে কুলসুম মিনু, মিজানুর রহমান ও জি,এম কাশেম।

অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কিছু প্রার্থী নিজেকে জনপ্রিয় মনে করে নৌকার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। এতে দলীয় কোন্দল দূর করা যায় না। সাংগঠনিক দুর্বলতা দেখা দেয়। তৃণমূলের রাজনীতিতে ঐক্য ধরে রাখতে আমরা যাকে যোগ্য মনে করবো তাকেই মনোনয়ন দেবো। মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে একবার বিদ্রোহী প্রার্থী হলে ওই নেতাকে আর কখনই নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না। শুধু তাই নই, ওই বিদ্রোহী প্রার্থীকে আজীবনের জন্য দলীয় পদ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হবে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে এই ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দলীয় প্রতীকের পক্ষে কাজ করে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান।’

নৌকা প্রতীক পেলে স্ব স্ব ইউনিয়নকে গ্রাম থেকে শহরে রূপান্তর করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। যারা মনোনয়ন পাবে না তাঁরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: