ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ ২ কেন্দ্রের ভোট পুরগণনার দাবী

নিজস্ব প্রতিhapas badarkhalliনিধি, চকরিয়া:

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন গত ৭মে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে চশমা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু নাঈম মো: হেফাজ সিকদার তার নিশ্চিত বিজয় সুপপরিকল্পতভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল ৮মে রাত সাড়ে ৮টায় চকরিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। নির্বাচনে পূণভোট গণনা দাবী চেয়ে প্রার্থী আ.ন.ম হেফাজ সিকদার দাবী করেন, নির্বাচনে ভোটেরদিন ১নং ওয়ার্ডে মাঝেরপাড়া হামেদিয়া কাদেরিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় বিজয়ী দেখানো আনারস প্রতীকের খাইরুল বশরের এজেন্ট ছাড়া প্রতিদ্বন্ধী অন্যান্য প্রার্থীর সকল এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার ৩০মিনিট পূর্বে ব্যাপক ও অস্বাভাবিকভাবে জাল ভোট প্রয়োগ করে অন্য ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের চেয়ে অতিরিক্ত আরো ১০%^ ভোট কাস্টিং দেখানো হয়েছে। ২নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে মৃত ব্যক্তি, পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী এবং প্রবাসে থাকা ব্যক্তিদের ভোট অস্বাভাবিকভাবে কাস্টিং দেখানো হয়েছে। ৯নং ওয়ার্ডের হাবিবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ভোট গণনা হলেও রাত ৮টা পযর্ন্ত ফলাফল ঘোষণা করেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার আরিফুল কবির। এমনকি ওই কেন্দ্রে নির্বাচনী ফলাফল সীটে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরও করেনি। হেফাজ সিকদার আরো অভিযোগ করেন, সকল কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী তিনি বিজয়ী হলেও রহস্যজনক কারণে উপজেলা কন্ট্রোল রুমে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রায় ১ঘন্টার অধিক সময় আত্মগোপনে থাকার পর প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে খুজ নেওয়ার পর ওই কর্মকর্তা কন্ট্রোল রুমে আসে। এছাড়াও প্রিসাইডিং অফিসার আরিফুল কবির যেকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন ওই কেন্দ্রের ব্যালট বক্স সিলগালা না করে উন্মক্ত রেখে উপজেলায় এনে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে। এতো অনিয়ম ও রহস্যজনক আচরণের পর প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে মৌখিকভাবে পাওয়া ও কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফল বিবেচনায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, কিন্তু উপজেলার নির্বাচনী কন্ট্রোল রুমে এসে অদৃশ্য কারণে ফলাফল পাল্টিয়ে মাত্র ৪৬ভোটের ব্যবধানে দেখিয়ে তার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আর্থিক লেনদেনে গোপন আতাতের মাধ্যমে আনারস প্রতীকে খাইরুল বশরকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যা সাধারণ ভোটারদের সমর্থনের প্রতি চরম অবাজ্ঞা ও অসম্মান জানানো ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই আমি বদরখালীর ৪০হাজার জনগোষ্টীর পক্ষ থেকে ১,২ ও ৯নং ওয়ার্ডে ভোট পূণ:গণনা দাবী করছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় শাস্তি দাবী করছি। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

পাঠকের মতামত: