চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক কাজী নাজিমুল ইসলাম বলেছেন, রামুর অবহেলিত জনপদ চাইল্যাতলী এখন শিক্ষার আলোয় জ্বলজ্বল করছে। এটি এখন আর অবহেলিত জনপদ নয়। এখানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষাপাগল আবুল কালাম আজাদ যে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তা সমাজে বিরল। প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এ বিদ্যালয়কে শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আবুল কালাম আজাদ। নিজের এলাকার জন্য, দেশের জন্য, মানুষের জন্য অসামন্য অবদান রেখে গেছেন। শিক্ষার্থীদের শতভাগ সাফল্যের মাধ্যমে আবুল কালাম আজাদের সেই ত্যাগের ফল এখন সবাই ভোগ করছেন। সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত থাকলে একদিন এ বিদ্যালয় কেবল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড নয়, দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানে রূপ নেবে। দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা ভেবে আবুল কালাম আজাদের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ যেমন প্রসংশনীয় তেমনি অন্যদের জন্যও অনুকরণীয়। এমন মহৎ কর্মের মাধ্যমে আবুল কালাম আজাদ মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
কেবল পাঠ্যবই পড়েই জীবনে সফলতা আসবে না। পরিপূর্ণ, সৃজনশীল, মেধার বিকাশ ও নিজের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে হলে অপাঠ্য বইও বেশি করে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। জ্ঞান অর্জনের ক্ষুধা আর অদম্য ইচ্ছে থাকতে হবে। শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি নৈতিক চরিত্র গঠনও জরুরী। তাই পড়ালেখার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে করণীয় বিষয়েও শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দিতে হবে।
রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চাইল্যাতলী এলাকার একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার (১ মার্চ) সকাল ১১টায় বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং হাজ্বী মোতালেব আল মাছিয়া ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি এডভোকেট আবুল মনসুর চৌধুরী, দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক মো. মাহবুবুর রহমান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম, রামু রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সোয়েব সাঈদ, নিজেরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌলানা আমান উল্লাহ, ইউপি সদস্য মোজাহের মিয়া, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আবুল কালাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল মনসুর চৌধুরী বলেন, চাইল্যাতলী এলাকা ছিলো সীমান্ত থেকে আসা চোরাইপণ্য পাচারকারি ও অপরাধিদের অভয়ারন্য। সুযোগ না থাকায় এখানকার মানুষ ছিলো শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু ২০১১ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে আবুল কালাম আজাদ নামের এক যুবক এখানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে গ্রামটিকে আলোকিত করার উদ্যোগ নেন। যা এখন সফল হতে চলেছে। সরকার, জনপ্রতিনিধি আর সমাজের বিত্তবানরা যা পারেনি, আবুল কালাম আজাদ তাই করে দেখিয়েছেন। তাঁর অবদানকে মানুষ কখনো ভুলে যাবে না। তিনি আবুল কালাম আজাদের বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এলাকার শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া দেখে এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে বিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। বিদ্যালয়ের হাল কখনো ছাড়বো না’।
সহকারি প্রধান শিক্ষক আবু বকর ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইয়াছমিন আকতার, জাহেদুল ইসলাম, আবদুর রহিম, জয়সেন ধর, রিদুয়ানুল হক, আলি আহমদ সিফাত, শাফিয়া সুলতানা, এরশাদ উল্লাহ, সাবিনা আকতার, পুলক চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, দশম শ্রেণির ছাত্রী হোসনে আরা আকতার। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন।
#########################
রামু ইসলামিয়া এমদাদিয়া কাছেমুল
উলুম মাদ্রাসার বার্ষিক সভা আজ
রামু প্রতিনিধি ::
রামু ইসলামিয়া এমদাদিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানা’র ৪৭তম বার্ষিক দ্বীনি সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ। রামু অফিসেরচরস্থ মাদরাসা ময়দানে আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে অনুষ্টিতব্য এ বার্ষিক দ্বীনি সভায় ইসলামের আলোচনা করবেন, পটিয়া আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আল্লামা উবাদুল্লাহ হামজা, ঢাকা ঢেমরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব আল্লামা ইয়াকুব ওসমানী, আন্তর্জাতিক ধর্ম তথ্যবিদ ঢাকা’র মাওলানা মাহমুদ হাসান গুণভী, রামু জামেয়াতুল উলুম আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা’র পরিচালক মাওলানা হাফেজ শামসুল হক। বার্ষিক দ্বীনি এ সভায় বহু স্থানীয় ওলামায়ে কেরামগন দ্বীনের ওয়াজ নসীহত করবেন।
দ্বীনি সভায় বুজর্গানে দ্বীনের ওয়াজ নসীহত শুনে, দু’জাহানের কামিয়াবী হাছিল করতে উপস্থিত হয়ে দোয়া ও দানে শরীক হতে আবেদন জানিয়েছেন, রামু এমদাদিয়া কাছেমুল ঊলুম মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর ও মুহতামিম মুফ্তী মুর্শিদুল আলম চৌধুরী।
######################
রামুতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয়
শিশু দিবসের সভা অনুষ্ঠিত
রামু প্রতিনিধি ::::
রামুতে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে প্রস্তুতিমূলক পৃথক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১ মার্চ) সকালে রামু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পৃথক দু’সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি’র সভাপতিত্বে পৃথক সভায় আলোচনায় অংশ নেন, রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নিকারুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান, রামু থানা অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর, রামু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার নুরুল হক, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুবীর বড়–য়া বুলু, রাজনীতিক মাষ্টার নুরুল আমিন, সংগীত প্রযোজক বশিরুল ইসলাম, রামু চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সজল বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন রামু উপজেলার সুপারভাইজার মো. সাইফুদ্দিন খালেদ, রামু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সেলিম, রামু খিজারী বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমন বড়–য়া প্রমুখ।
সভায় ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পাঠকের মতামত: