ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

রামুতে ভবন নির্মাণের পরও ঝুলে আছে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম

ccccccসোয়েব সাঈদ, রামু ::

রামু, নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওসহ ৩ উপজেলার লাখ লাখ মানুষের প্রাণের দীর্ঘদিনে প্রাণের দাবি রামু ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা বাগান এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে ইতিমধ্যে ফায়ার সার্ভিসটির ভবনও নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু জনৈক ব্যক্তির একটি মামলার কারনে ফায়ার সার্ভিসটির কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট তিন উপজেলার জনমনে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা বাগান এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভবন নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। স্বল্প সময়ে ভবনটির অধিকাংশ কাজও সম্পন্ন হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের জমিতে স্বত্ত দাবি করে উচ্চ আদালতে দায়ের করা একটি মামলার কারনে পুরো কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য গত ১মাসে রামু উপজেলা, সদর উপজেলার ঈদগাঁও ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নির্মিত ফায়ার সার্ভিসটি চালু না হওয়ায় তারা বিপুল ক্ষতির সম্মৃুখিন হয়েছেন। তাদের দাবি জনস্বার্থে যেন মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়। মাত্র দুয়েক শতক জমির জন্য এতবড় একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে পারে না।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অগ্নিকান্ড ঘটনোর পরপরই কক্সবাজার কিংবা চকরিয়ার ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কারণ, কক্সবাজার সদরের একমাত্র ফায়ার সার্ভিসটি শহরের ভিতর হওয়ায় বিভিন্ন ঝুঁকি নিয়ে এলাকায় পৌছতে না পৌছতেই সবকিছু ছাই হয়ে যায়। অন্যদিকে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে চকরিয়ার ফায়ার সার্ভিসটি এলাকায় আসতে বিলম্ব হচ্ছে। অন্যদিকে কয়েক লাখ মানুষের প্রাণের দাবী, রামু ফায়ার সার্ভিস স্থাপিত হওয়ায় মানুষের স্বপ্ন পূরণের কাটা হয়ে দাড়িয়েছেন মামলা দায়েরকারি ব্যক্তি।

অথচ ঐ ফায়ার সার্ভিসটি রামু হাসপাতাল সংলগ্ন মহাসড়কের পাশর্^বর্তী স্থান হওয়ায় দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছারও যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে এ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের। তাই দ্রুত গতিতে মামলা নিষ্পত্তি করে ফায়ার সার্ভিসটি উদ্ভোধন করতে সাংসদ কমলের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রামু, ঈদগাঁও ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সর্বস্তুরের জনতা। এটি উদ্ভোধন করতে বিলম্ব হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণকে আরো কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।

কক্সবাজার-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, তিনি এ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জন্য চলমান মামলা প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট বাদির সাথে বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলেও তিনি এখনো মামলা প্রত্যাহার করেননি। তিনি যদি মামলা প্রত্যাহার না করেন, তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল দেশ গড়তে ঘনবসতি এলাকায় ইতিপূর্বে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের নির্দেশ দেয়ায় এলাকার জনমনে স্বস্থি ফিরে আসে। কিন্তু একটি মামলার কারনে একটি ফায়ার সার্ভিস অনুমোদনের এক যুগেও বাস্তবে রূপ না দেয়ায় জনমনে উল্টো চরম হতাশা ও আতংক বিরাজ করছে। তাই বিষয়টি নিরসনে কক্সবাজার-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলসহ সকলের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি জনতা।

এদিকে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদি রামুর মেরংলোয়া গ্রামের বাসিন্দা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার জানান, বিষয়টি সমাধানে তিনিও আন্তরিক। এব্যাপারে সাংসদ কমলের সাথে যোগাযোগও চলছে।

 ##############

রামুতে অগ্নিকান্ডে ৩টি পোল্ট্রি খামার পুড়ে ছাই ॥ ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সোয়েব সাঈদ, রামু :::

রামুতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩টি পোল্ট্রি খামার পুড়ে গেছে। এতে ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) ভোর পৌনে ৫টায় রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের তেমুহনী স্টেশনের পাশে দক্ষিণ শ্রীকুল এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

দীর্ঘদিন ওই ৩টি খামার যৌথভাবে পরিচালনা করছিলেন, হুমায়ন রশিদ লাভলু ও নবী হোছাইন নামের দু ব্যক্তি। তারা জানান, ভোরে শর্ট সার্কিট থেকে আকস্মিকভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়ে একটি খামার জ্বলতে শুরু করে। আগুনের লেলিহান শিখা বেড়ে গেলে আগুন নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস এর দমকল কর্মীরা যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেনি। একারনে অপর দুটি খামারেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এক ঘন্টার মধ্যে ৩টি খামারই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

তারা আরো জানান, এ অগ্নিকান্ডের মাত্র একদিন আগে এ খামারে ৩ হাজার মুরগির বাচ্চা আনা হয়। অগ্নিকান্ডে এ ৩ হাজার বাচ্চাও মারা গেছে। তাছাড়া ৩টি খামার ঘর করতে গিয়ে প্রায় ২২ লাখ টাকা খরচ হয়েছিলো। এখন সবই পুড়ে গেছে। এতে তাদের ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম সহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা গতকাল দুপুরে অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া খামারগুলো দেখতে যান।

পাঠকের মতামত: