খালেদ হোসেন টাপু,রামু ::
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি কক্সবাজারের রামুতে অপরিবর্তিত রয়েছে। উপজেলার বেশ কিছু এলাকা বৃহস্পতিবার নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখনও পানিবন্দি রয়েছে রামু উপজেলার দেড়শ গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের করুন মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সঙ্কট চলছে। মৎস্য প্রকল্পগুলো পানিতে তলিয়ে গিয়ে বিপুল পরিমাণ মাছ ভেসে গেছে। বন্যায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। নতুন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির ফসল।
বৃহস্পতিবার চাকমারকুল, রাজারকুল, ফতেখাঁরকুল, জোয়ারিয়ানালা, রশিদ নগর, ঈদগড়, কাউয়ারখোপ, দক্ষিণ মিঠাছড়ি, খুনিয়া পালং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়।
বৃহস্পতিবার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের উত্তর ফতেখাঁরকুল চালইন্যা পাড়া এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে একসাথে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এরা হল- রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চালইন্যা পাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে শাহিন (১০) ও ফাহিম (৮)। খবর পেয়ে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম ও রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাজান আলি, ফতেখাঁরকুল চেয়ারম্যান ফরিদুল আল, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহজাহান আলি ফতেখাঁরকুল, চাকমারকুল বিভিন্ন দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে শুকনো খাবার চিঁড়া গুড় বিতরন করেন। এছাড়া ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদে খাদ্য শস্য গম বিতরণ করেন, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। এসময় ফতেখাঁরকুল চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন। এ ছাড়া বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি পানি বন্দি মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার চিঁড়া গুড় বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান।
এদিকে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহজাহান আলি বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, বন্যাকবলিতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: