ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

‘নিজ উদ্যোগে কক্সবাজার-রামুর ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পড়াশুনার খরচ বহন করবো’ -রামুতে কমল

sssssসোয়েব সাঈদ, রামু :::

কক্সবাজার-রামু আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, বিগত ৩বছরে রামুর শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যা স্বাধীনতার ৪৩ বছরে হয়নি। স্বাধীনতার পূর্বে রামুতে উচ্চ বিদ্যালয় ছিলো ৫টি। বিগত ৪৩ বছরে এ সংখ্যা ছিলো ১২টি। অথচ বিগত ৩ বছরে রামুতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আরো ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

এর সুফল ভোগ রামুর ১১ ইউনিয়নের ছাত্রছাত্রীরা। বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সততা, মেধার সমন্বয় ঘটিয়ে নিজেকে আধুনিক ও কর্মক্ষেত্রে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা উন্নয়নের আমি নিরলসভাবে ভূমিকা রাখতে চাই। প্রয়োজনে কোন ছাত্রছাত্রী উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশে পড়াশুনার জন্য যেতে হলে আমি বিমান টিকেট এর ব্যয়ভার বহন করবো।

রামু উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ রামু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় আয়োজিত নবীন বরণ উৎসব ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ কমল এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাংসদ তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোগত উন্নয়নেও রামু অনেক এগিয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৪৩ বছরে এখানে পাঁকা সড়ক ছিলো ৪৩ কিলোমিটার। আর বিগত ৩ বছরে নির্মিত হয়েছে ২৮ কিলোমিটার পাকা সড়ক। শীঘ্রই ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রামুতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। অচিরেই রামুতে বিকেএসপি, ক্যাডেট কলেজ ও রেল লাইনের কাজ শুরু হবে। উন্নয়ন কর্মকান্ডে রামু হবে বাংলাদেশের মডেল উপজেলা।

উৎসবে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় এবং প্রধান বক্তা ছিলেন, মোরশেদ হোসাইন তানিম।

নবীন বরণ উৎসব ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও রামু উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম, রামু কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মুসরাত জাহান মুন্নী, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য শামসুল আলম, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ইসমাইল সাজ্জাদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, রজত বড়–য়া রিকু, সালাহ উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রাশেদ আলী খান প্রমূখ।

নবীন বরণ উৎসব ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও রামু উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান মুফিজ, ঈদগড় ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইসমাঈল মো. নোমান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টো, রশিদনগর ইউপি চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হক, মাস্টার ফরিদ আহমদ, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, রামু প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক নুর আল হেলাল, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সোহেল, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মাস্টার রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম পুতু, খুনিয়াপালং যুবলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ মেম্বার, রামু চৌমুহনী বণিক সমিতির সদস্য স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আজিজুল হক আজিজ, রাজারকুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাশেকুর রহমান, রামু কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়া ইরফান, রামু কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ, রিয়াজ আহমেদ, নওয়াছির আরাফাত সোহেল, মিশু, ইকবাল, সোহেল, আজিজুল হক আজিজ, সাইফুল, হেলাল, লবা, জমির সিকদার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এতে উদ্বোধক এর বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, যারা বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে তারাই ছাত্রলীগ করতে উৎসাহিত হবে। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। তাই ছাত্রলীগের কর্মী হওয়া গৌরবের। রামু শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে একটি অনন্য উপজেলা হিসেবে স্বীকৃত। এমন একটি সমৃদ্ধ উপজেলায় বৃহৎ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের এ বিশাল অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের আগামীদিনে সঠিক পথ চলার দিকনির্দেশনা দেবে।

নবীন বরণ উৎসবকে ঘিরে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস সকাল থেকে ছাত্রছাত্রী ও অতিথিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে। সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসবের কার্যক্রম। ছাত্রীদের মাথায় কাঁচা ফুলের বেনী আর ছাত্রদের পরনে রংবেরংয়ের টি শার্ট উৎসবস্থলকে করে দৃষ্টিনন্দন ও বৈচিত্রময়।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন, সাংসদ কমলের একান্ত সহকারি মিজানুর রহমান এবং ব্যক্তিগত সহকারি আবু বক্কর।

অনুষ্ঠানের নবীনদের উদ্দেশ্যে কলেজের ছাত্রী মহুয়া মমতাজ এবং প্রবীনদের উদ্দেশ্যৌ তারিন মানপত্র পাঠ করেন। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলায়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ করেন, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, তর্মা শর্মা ও কেয়া বড়–য়া।

আলোচনা সভায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে হাজারো ছাত্রছাত্রীদের মাতিয়ে তুলেন, ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রন্টি দাশ। এছাড়া চট্টগ্রাম ও রামুর শিল্পীরাও অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন।

পাঠকের মতামত: