নিজস্ব প্রতিবেদক ::
দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ কাটার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩ -২০৫০) এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কাটা যাবে না। কাটা যাবে সোশ্যাল ফরেস্ট যেগুলো, সেগুলো এর মধ্যে থাকবে না। সোশ্যাল ফরেস্ট হলো যেমন কারো ব্যক্তিগত, রাস্তার পাশ দিয়ে যে বনায়ন বা ডিপফরেস্টের আগে একটা বাফার জোন থাকে। সেখানে স্থানীয় জনগণের সাথে যৌথভাব বনায়ন হয়।
তিনি বলেন, শেরপুরে আমি দেখেছি, এই বাফার জোনে আকাশিয়া গাছ বোনা হয়। কারণ এ গাছগুলো ১৫ বছর হলে কাটার উপযুক্ত হয়ে যায়। তাই ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এই গাছ কাটতে হয়। এতে যে সকল মানুষ এই গাছগুলো পরিচর্যা করে তারা ৭০ শতাংশ পায় আর ৩০ শতাংশ পায় বনবিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কোনো অবস্থাতেই ২০৩০ সালের আগে কাটা যাবে না। যদি কেউ কাটে তাহলে বন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা একটা সার্কুলার টাইপের। এটা হলে গেজেট নোটিফিকেশন হবে। সেখানে বন আইনে যে শাস্তি আছে সে অনুযায়ী হবে।
২০৩০ সাল পর্যন্ত কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হলো একটা শিফট টাইম। ৫ বছর বা ৭ বছর হয়ে থাকে। এবার ৫ বছর না করে ৮ বছরের জন্য চলে আসছে। যদিও বর্তমানে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তাই ২০২৩ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার (২০২৩ -২০৫০) খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা আগে ২০৩০ সার পর্যন্ত ছিল। এখানে আমাদের একটা রিকোয়ারমেন্ট ছিল, আগামী ৫ বা ৬ নভেম্বর থেকে কপ সম্মেলন হবে ইজিপ্টে। তার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এর আগেও নিয়ে আসা হয়েছিল। তখন কিছু অবজারভেশন দিয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। আজকে আবার নিয়ে আসা হয়েছে, এবার ঠিক আছে।
পাঠকের মতামত: