বান্দরবান শহরের কালাঘাটা শিশু পরিবার সংলগ্ন এলাকায় স্কেভেটর দিয়ে প্রকাশ্যেই কাটা হচ্ছে পাহাড়। জায়গাসহ রাস্তা ভরাট কাজে ব্যবহার করার জন্য অবৈধভাবে পাহাড় কাটা হলেও সরকারি মহল এসব রোধে কোন উদ্যোগই নিচ্ছে না বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পরিবেশও দ্রুত দূষিত হয়ে পড়ার শংকা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
গত বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা গেছে, বান্দরবান শহরের কালাঘাটা সরকারি শিশু পরিবার সংলগ্ন এলাকায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিশাল পাহাড় স্কেভেটর ব্যবহার করে অবৈধভাবে কেটে গত দুদিনে ১০/১২ ট্রাক মাটি পাচার করা হয়েছে। মাটি পাচার কাজে নিয়োজিত রয়েছে জনৈক ঠিকাদার নুরুল আবছার ওরফে জ্বীন আবছার। স্কেভেটর দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে পাহাড় ধ্বংস করে মাটি অপসারণ কারবার দিব্যি চলছেও সরকারি মহল রহস্যজনক নির্বিকার থাকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান গত দুদিনে ঠিকাদার নুরুল আবছার ওরফে জ্বীন আবছার ও তার সহযোগী রেজাউল করিম ওরফে লেপ করিম স্কেভেটর দিয়ে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে এবং মাটি পাচার করছে কথিত জায়গা উন্নয়ন এবং রাস্তার কাজে ব্যবহারের অজৃুহাতে। পাহাড়ের এসবমাটি প্রতিদিন ১০/১২টি ট্রাক যোগে শহরের নানাস্থানে বিক্রয় করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশাল পাহাড়টি কেটে সাবাড় করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন,সাধারন জনগণ ঘর নির্মাণ করার জন্য ছোট পরিসরে পাহাড় কাটার সময় পুলিশ ও প্রশাসন দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নিতে থাকে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতার নামীয় পাহাড় কর্তন করে প্রকাশ্যে মাটি পাচার করা হলেও সরকারি মহল নির্বিকার রয়েছে, আইন প্রয়োগ হচ্ছে না। সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে ঠিকাদার নুরুল আবছারের সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী রেজাউল করিম ওরফে লেপ করিম সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় এবং উশৃংঙ্খল কথার্বাতা বলে। এক পর্যায়ে তিনি পাহাড় কাটার ঘটনা পৌর মেয়র মো. ইসলাম বেবীর ওপর চাপিয়ে দেন। এ ব্যাপারে যোগযোগ করা হলেও ঠিকাদার নুরুল আবছার ওরফে জ্বীন আবছার অবৈধভাবে পাহাড় কাটার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, পৌর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে পাহাড় কাটার সংবাদ আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এবং তা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: