নিউজ ডেস্ক ::
সাবেক মেজর সিনহা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ লিয়াকত আলী।
রোববার (৩০ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারকের খাস কামরায় তার এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এদিন তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় লিয়াকতকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে নেয়া হয়।
সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘তিনি (এসআই লিয়াকত) আমাদের কাছে তার দোষ স্বীকার করেছেন। আমি আশা করি তিনি সত্যটাই আদালতে প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো বলেন, সিনহা হত্যা মামলায় পরিদর্শক লিয়াকতকে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতেই আদালতে আনা হয়েছিল। আশা করি তিনি সত্য কথাটি বলেছেন।
এর আগে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আব্দুল্লাহ।
একই মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত রিমান্ডে আছেন। গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) তৃতীয় দফায় তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।
গত ৩১ জুলাই ঈদের আগের রাতে টেকনাফের একটি পুলিশ চেকপোস্টে পরিচয় দেয়ার পরও মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
এদিকে গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ মামলায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত টেকনাফ থানাকে মামলা গ্রহণের আদেশ দেন। মামলা হওয়ার আগেই থানা থেকে ওসি প্রদীপকে প্রত্যাহার করা হয়। এর পরদিন ওসিসহ ৭ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন না মঞ্জুর হয়। এ হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন ওসি প্রদীপ, সিনহাকে গুলি করা হত্যাকারী পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপ-পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত, সহকারী উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া এবং কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন।
পাঠকের মতামত: