দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার কেরানীহাট নিউ মার্কেট এলাকায় কেঁওচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আমিনুল ইসলাম ও মোঃ শফিউল আলম সোহেল গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সোহেল গ্রুপের কুতুব উদ্দিন (১৮) নামের কর্মীকে আমিনের লোকজন তুলে নিয়ে মারধর করে। ঘটনার ১ ঘন্টা পর পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।
জানা যায়, পূর্বের একটি ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কেরানীহাট হক টাওয়ারে সোহেল গ্রুপের অনুসারি মাঈনুদ্দিন সাথে আমিনের মধ্যে একটি বৈঠক হচ্ছিল। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা আমিন তার অনুসারিদের নিয়ে মাঈনুদ্দিনকে মারধর করে নিউ মার্কেটের উত্তর পাশে অবস্থান নেয়। পরে সোহেল তার অনুসারিদের নিয়ে জড়ো হলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ৩ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। আহতরা হলেন, সোহেলে অনুসারি মাঈনুদ্দিন (২০), কুতুব উদ্দিন (২২) ও আমিনের অনুসারি মোঃ বাবুল (১৭)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে কেরানীহাটের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ভয়ে নিউ মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দেন। এসময় ক্রেতারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নেয়।
কেঁওচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একাংশের সভাপতি শফিউল আলম সোহেল বলেন, একটি ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগ নেতা মাঈনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে আমিন লোকজন নিয়ে মারধর করে গুরুত্বর আহত করে। রাত দশটার দিকে মাঈনুদ্দিনের বড় ভাই কুতুব উদ্দিনকে নিউ মার্কেটের ২য় তলার একটি দোকান থেকে আমিনের লোকজন তুলে নিয়ে মারধর করে। ১ ঘন্টা পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এব্যাপারে কেঁওচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একাংশের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সোহেল ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। মাঈনুদ্দিন কয়েকদিন আগে আমার দুই অনুসারিকে মারধর করে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করা সোহেল তার বাহিনী নিয়ে আমার উপর হামলা করে। এসময় আমি পালিয়ে মার্কেটের একটি দোকানে আশ্রয়নি।
সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল জলিল বলেন, পূর্বের একটি ঘটনা নিয়ে রাতে সোহেল ও আমিন গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: