ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

লামায় বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুট ॥ শিশু সহ আহত ৪

sontrasi hamlaমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের ক্যাম্প বাজার এলাকায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের হামলায় শিশু ও নারী সহ একই পরিবারের ৪জন আহত হয়েছে। এসময় সন্ত্রাসীরা বসতবাড়ি ও দোকান থেকে নগদ ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ও ১২টি মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এছাড়া ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকার মালামাল (ফার্ণিচার, কম্পিউটার) ভাংচুর করে। হামলায় আহতরা হল, খালিদ সাইফুল্লাহ (১), সালমা আক্তার (২৫), মোখলেছুর রহমান (১৭) ও বাবুল মৃধা (৫৫)। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় এই ঘটনা ঘটে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল রবিবার দিবাগত রাত ১২টায় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ক্যাম্প বাজার ছারোয়ার পাড়ার সালমা আক্তারের বাড়িতে ১৫/২০জনের ১টি সন্ত্রাসী গ্রুপ ছিনতাই ও লুট করতে হামলা চালায়। সালমা আক্তার হামলাকারীদের চিনতে পেরে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। লুট ও ছিনতাই কাজে ব্যর্থ হয়ে একই সন্ত্রাসীরা ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় পুণরায় হামলা চালায়।

সালমা আক্তারের পিতা বাবুল মৃধা জানায়, আমি লাকড়ি ব্যবসা করি। মঙ্গলবার কয়েকটি ব্রিকফিল্ডে লাকড়ি বিক্রয় করে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পাই। এই টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ক্যাম্প বাজার আসলে সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায় এবং আমাকে মারধর করে টাকা গুলো নিয়ে যায়। এই সময় সন্ত্রাসীরা আমার মেয়ে বাড়িতে গিয়ে মেয়ে ও নাতিকে মারধর করে। ঘটনাটি আমার মেয়ের দেবর আল মামুন মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারন করতে গেলে তারা তাকে মারধর করে। ক্যাম্প বাজার ও চিউনী পাড়া এলাকার মোঃ সিরাজ (৫২) রমজান আলী (২৮), ছিদ্দিক মাষ্টার (৫৫) এর হুকুমে শহীদুল ইসলাম (২৮), জাহাঙ্গীর (২৭), জয়নাল আবেদীন (৪৫), জাকির হোসেন (৩৫), ওবাইদুল ইসলাম (৩২), জাহেদুল ইসলাম ((৩০), শফিকুল ইসলাম (২৫), হাসেম আলী (৪৫), রফিকুল ইসলাম (২৮), মোঃ জয়নাল আবেদীন (২৩), মোঃ ইউনুছ (২৬) ও আব্দুল ছোবাহান (৩৮) সহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫জন এই হামলা চালায়।

আল মামুন বলেন, তারা আমাকে মেরে আমার দোকান থেকে নগদ ২২ হাজার টাকা ও ১২টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা। এসময় তারা দোকানের ফার্ণিচার ও কম্পিউটার ভাংচুর করে ৬৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। আমার ভাই মোখলেচুর রহমান বাধা দিলে তাকেও মারধর করে।

এই বিষয়ে আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ৯ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে ১৯ এপ্রিল বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু তার আগে মঙ্গলবার অভিযুক্তরা আবার নতুন ঘটনা ঘটায়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আজিজনগর পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাম্প কমান্ডার লিয়াকত হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের আইনী প্রতিকারের জন্য লামা থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: