ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

লামায় পৌরসভার আয়োজনে বেওয়ারিশ কুকুর টিকা দান কর্মসূচী

ুুামোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

জলাতংক রোগ মুক্ত লামা গড়তে, জনসচেতনা বৃদ্ধিতে ও বেওয়ারিশ কুকুর টিকা দান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। ১লা মে রবিবার সকাল ৯টায় লামা উপজেলা পরিষদের শহীদ চত্বরে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম।

বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার ফর ফ’জ এর আয়োজনে রাইজ ফর প এর সহযোগিতায় লামা পৌরসভার সার্বিক তত্ত্ববধানে বেওয়ারিশ কুকুর টিকা দান এর আয়োজনে করা হয়। কর্মসূচী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা পৌরসভার কাউন্সিলর জাহানারা বেগম, মোঃ রফিক, মোঃ হোসেন বাদশা, মোঃ সাইফুদ্দিন, মোঃ আবু সালাম, মোঃ জাকের হোসেন, লামা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রিয়দর্শি বড়–য়া, লামা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাঃ সম্পাদক মোঃ তৈয়ব আলী সহ প্রমূখ।

রবিবার দিনব্যাপী ৩০জন ডাক্তার ও কর্মী লামা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ২টি টিম কাজ করবে। এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেয়ার ফর ফ’জ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌরভ শামীম, কেয়ার ফর ফ’জ এর ডাক্তার অভ্র প্রতীপ চৌধুরী।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল লামা পৌরসভায় জলাতঙ্ক ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরের কামড়ে ২৫ জন শিশু, নারী ও পুরুষ আক্রান্ত হয়। জলাতঙ্ক মূলত একটি ভাইরাসজনিত মরণব্যাধি। এর ইংরেজী নাম র‌্যাবিস। এটি ল্যাটিন শব্দ। যার অর্থ ‘পাগলামী করা’। জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশু বা রোগীর আচরণ থেকেই এই নামকরণের সূত্রপাত। সাধারণত কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বেজি, বানর, চিকা ইত্যাদি গরম রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীই জলাতঙ্কের বাহক।জলাতঙ্ক আক্রান্ত যে কোন প্রাণীর কামড়, আচড় এমনকি এদের লেহনেও জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। বাংলাদেশে জলাতঙ্ক রোগের মূল কারণ জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুর। এ রোগের লক্ষণ জল দেখলেই ভয় পাওয়া, জল খাওয়া বা পান করার সময় খাদ্য নালীর উর্ধভাগের মাংসপেশীতে ব্যথাসহ তীব্র সংকোচন হতে পারে। এ জন্যই এর নাম জলাতঙ্ক। এই জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে কুকুর এবং মানুষ উভয়েরই মৃত্যু অনিবার্য। একটু সচেতন হলেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

পাঠকের মতামত: