বান্দরবানের লামা উপজেলায় অবশেষে প্রচার প্রচারনা জমে উঠেছে। প্রতীক বরাদ্ধ পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। ভোরের সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন ভাবে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বান্দরবানের লামা উপজেলায় ৩য় ধাপে ২৩ এপ্রিল ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উপজেলার ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে ১ নং গজালিয়া, ২ নং লামা, ৩ নং ফাসিয়া খালী, ৫ নং সরই, ৬ নং রূপসীপাড়া ও ৭ নং ফাইতং । এই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ঘিরে পাহাড়ী জনপদ নামে খ্যাত জনবহুল জনঅধুষিত এলাকা বান্দরবনের লামা উপজেলায় নারী পুরুষ ভোটারদের মাঝে এক প্রকার উৎসবের আমেষ সৃষ্টি হয়েছে। প্রার্থীরা নির্বিঘেœ হাটবাজার, চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লায় জনসমাগম এলাকার বিশেষ বিশেষ স্থান সহ সর্বত্রেই এখন নির্বাচনী আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে আর পোষ্টারে, ব্যনারে, মাইকিং এ শ্লোগানে এখন মুখরিত গ্রামীণ জনপদ এসব মিলেই প্রচার প্রচারণা এখন তুঙ্গে। তারা দলীয় প্রতীক নিয়ে কে হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের ধারক বাহক ও গ্রাম্য আদালতের কান্ডারী। এই ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামীলীগ, বি.এন.পি, জাতীয় পার্টি, ইসলামাী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিদ্রোহী ও সতন্ত্র প্রার্থীরা রয়েছেন। অন্য দলের প্রার্থীরা থাকলেও মুলত লড়াই হবে অধিকাংশের মধ্যে আওয়ামী লীগ বনাম বি.এন.পি। এ দল গুলোর মধ্যে আওয়ামীলীগ ও বি.এন.পির অবস্থান রয়েছে শক্তিশালী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। প্রার্থীরা উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়া জন সমাগম এলাকায় উঠান বৈঠক, সভা সমাবেশ, ঘরোয়া আলাপ আলোচনা করে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে উন্নয়নের নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন তারা। ভোটারদের মতে এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলেলর প্রেস্টিজ ইস্যু হল। প্রার্থীেেক বিজয় করতে পারলে আওয়ামীলীগের জন্য হবে গৌরবের বিষয় কিন্তুু এক্ষেত্রে ভোটার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা চুলছেড়া বিশ্লেষণ করেেছন। তাদের মতে ভোটে যাই আসুক না কেন এবারে ভোটারেরা ভোট দেবেন ভেবে চিন্তে। অনেক ভোটারেরা জানায় ভোট ভিক্ষা দেওয়া জন্য না, দান করার জন্য নয়, ভোট নাগরিক অধিকার। আমাদের ভোট দেশের উন্নয়নের জন্য। যে ব্যক্তি এলাকার উন্নয়ন করবে তাকে ভোট প্রদান করব। ভোটারেরা প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করে। আওয়ামীলীগের মধ্যে কিছু বিদ্রোহ প্রার্থী থাকলেও বি.এন.পি সহ অন্যান্য দলের বিদ্রোহ প্রার্থী নেই বলে দলের সূত্রে জানা গেছে। মূলত আওয়ামীলীগ ও বি.এন.পির মধ্যে হাড়াহাড্ডি লড়াই হবে ভোটারেরা জানিয়েছেন।
নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন কালে স্থানীয় ভোটারেরা জানান, কারো ব্যক্তি ইমেজ থাকলেও প্রতীক পছন্দের নয়। আবার কারো প্রতীক পছন্দের হলেও ব্যক্তির ইমেজ ভাল নয়। লোকজন প্রতীক চাইলে ব্যক্তি পায় না, ব্যক্তি চাইলে প্রতীক পায় না। তবুও ভোটারগণ পছন্দের লোককে যাচাই করে যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেবেন বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। লামায় ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৩ জন, সাধারণ মেম্বার ১৮৯ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ৫৬ জন সর্বমোট ২৬৯ জন। চেযারম্যান পদে লড়ছেন প্রার্থীরা হলেন ১নং গজালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে গজালিয়া ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাথোয়াইচিং মার্মা, উপজেলা বি.এন.পির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ধানের শীষ প্রতীক মংক্যচিং চৌধুরী, সতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক চচিমং মার্মা, ২নং লাামা ইউপি থেকে আওয়ামীগের মনোনীত প্রার্থী হল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকা প্রতীক বর্তমান চেয়ারম্যান মিন্টু কমুার সেন, বি.এন.পির মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বি.এন.পির সহ-সভাপতি ধানের শীষ প্রতীক রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি লাঙ্গল প্রতীক আবদুর রহমান, ৩নং ফাঁসিয়াখালীতে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বি.এন.পির সহ-সভাপতি ধানের শীষ প্রতীক বর্তমান চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নৌকা প্রতীক আওয়মীলীগের মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ খাইরুল বশর, (প্রকাশ বশর চেয়ারম্যান) জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক লাঙ্গল প্রতীক শামসুদ্দিন, ৫নং সরই ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (সতন্ত্র) ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন, সরই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, আওয়ামীলীগের মনোনীত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নৌকা প্রতীকে লড়ছেন নুরুল আলম, ইউনিয়ন বি.এন.পির সভাপতি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, ৬নং রূপসী পাড়া ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাচিংপ্রু মার্মা, ইউনিয়ন বি.এন.পির সহ-সভাপতি ধানের শীষ প্রতীক রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে লড়ছেন চাহ্লাখইন মার্মা, বিশ্বজিৎ বড়–য়া চশমা প্রতীকে সতন্ত্র প্রার্থী, জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাবিবুর রহমান, ৭নং ফাইতং থেকে বি.এন.পির মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে লড়ছেন ইউনিয়ন বি.এন.পির সভাপতি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক ইউনিয়ন আওয়ামীগের উপদেষ্টা জালাল উদ্দিন কোম্পানী, ইসলামী আনন্দোলন বাংলাদেশ পার্টির মনোনীত হাত পাখা প্রতীক মৌলানা মুফতি শওকতুল ইসলাম, আবু তাহের প্রার্থী আনারস প্রতীক (সতন্ত্র) আবদুল জলিল (সতন্ত্র) চশমা প্রতীক, হেলাল উদ্দিন (সতন্ত্র) মোটর সাইকেল প্রতীক। এদিকে সহ সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীরা বসে নেই প্রতিদ্বন্ধীতা করতে তারাও মাঠে নেমে পড়েছেন নির্বাচনী ফসল ঘরে তুলতে দিন রাত প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, লামায় চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ২৩ জন, সাধারণ মেম্বার সদস্য ১৮৯ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ৫৬ জন সর্বমোট ২৬৯ জন। এবাবে লামায় ভোটার সংখ্যা ৫৪ হাজার ৪শত ৭১ জন। এ মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ১শত ৩২ জন, মহিলা ২৮ হাজার ৩শত ৩৯ জন। কেন্দ্র ৬৪ টি, বোথ ১৭৩, রিটানিং অফিসার ৩ জন।
পাঠকের মতামত: