ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

লামায় জেএসএস-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, আহত- ৪২

দদদদৃৃৃমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

লামা উপজেলার গজালিয়া বাজারে ইউপি নির্বাচনে পরাজয় ও চাদাঁ দাবির জের ধরে ছাত্রলীগ-জেএসএস এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে গজালিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হল, জেএসএস পক্ষের জ্যোতি ত্রিপুরা(৩০), মংনুচিং মার্মা(৩৫), ছাত্রলীগ নেতা চিংহাইমং মার্মা(২৩), মংসুই হহু মার্মা(২২), মং ঞো চাইয়াহ (২৩), উহ্লাচাই মার্মা( ১৯) ও উসাই সুই মার্মা( ২৪)।

গজালিয়া গাইন্ধ্যা পাড়ার থোয়াইহ্লাঅং মার্মা (৩৮) জানায়, গজালিয়া ৬নং ওয়ার্ডের জেএসএস নেতা জ্যোতি ত্রিপুরা ও মংনুচিং মার্মা তার কাছ থেকে মোটা অংকের চাদাঁ দাবি করে। তারা সাপ্তাহিক বাজারের দিন গজালিয়া বাজারে আসে। এদিকে ইউপি নির্বাচনে জেএসএস প্রার্থী চচিমং মার্মা পরাজয়ের কারণে ক্ষোভে জেএসএস দিগুণ চাদাঁ দাবি করে। আমি সুযোগ বুঝে বিষয়টা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি চিংহাইমং মার্মাকে জানাই। ছাত্রলীগের নেতারা জেএসএস কর্মীদের চাদাঁ দাবির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা খুব উত্তেজিত হয়ে যায় এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আহতরা বর্তমানে লামা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গজালিয়া বাজারের স্থানীয়রা জানায়, জেএসএস এর লোকজন সংঘর্ষের পরপর বাজার থেকে প্রচুর কেরোসিন নিয়ে যায় এবং মানুষের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিবে বলে হুমকি ধমকি দেয়।

উভয়পক্ষের সংঘর্ষের পরপরই লামা সাব জোনের একটি সেনাবহিনী টিম গজালিয়া বাজারে উপস্থিত হয়। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার সংলগ্ন গাইন্ধ্যা পাড়ায় লাঠিচার্জ করে। এতে হুড়াহুড়ি করে পালাতে গেলে উপজাতি নারী, পুরুষ ও শিশু সহ ৩০-৩৫ জন আহত হয়।

সংঘর্ষের স্থান পরিদর্শন করেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম, গজালিয়া ইউপি’র নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা সহ প্রমূখ।

পাঠকের মতামত: