মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
লামায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে লামা বাজারস্থ আলী মিয়া শপিং কমপ্লেক্সের ২য় তলায় দোয়া মাহফিল, ইফতার ও আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি লামা উপজেলা, পৌর ও সকল অঙ্গ সংগঠন।
বান্দরবান জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাচিং প্রু জেরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমির হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, লামা পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোঃ বদরুল ইসলাম, গজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মংক্যচিং মার্মা, পৌর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রফিক, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি এ.জি.এম আবু জাফর, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুণ অর রশিদ সহ প্রমূখ। অনুষ্ঠানে প্রায় ৩ শতাধিক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বহুদলীয় গণতন্ত্র ও গনমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ এবং উৎপাদনমুখী রাষ্ট্রের প্রবক্তা হিসেবে জিয়াউর রহমান পরিচিতি পেয়েছিলেন অতি অল্প সময়ে। তাকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আনে ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব।
প্রধান অতিথি বান্দরবান জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাচিং প্রু জেরী বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন । ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিশেহারা জাতিকে আলোর পথ দেখিয়ে ছিলেন। এছাড়া তিনি বান্দরবান জেলার বিএনপি’র সকল নেতা কর্মীর মতামতকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রিয় কমিটি বান্দরবান জেলায় যে পকেট কমিটি ঘোষণা দিয়েছেন তা অনতিবিলম্বে বালিতের দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, যে দল গনতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে সে দলে স্বৈরাচারী মতামত তৃণমূলের কর্মীরা মেনে নেবে না।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিলে শহীদ জিয়ার রুহের মাগফেরাত ও দেশের অগ্রগতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত এবং ইফতার বিতরন করা হয়।
পাঠকের মতামত: