ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

লামায় করাতকলে শ্রমিক পলাশ দাশের হাত বিচ্ছিন্ন

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :

বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী এলাকায় করাতকলে কাজ করার সময় পলাশ দাশ (৩৫) নামে এক শ্রমিকের ডান হাতটি কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গুরুতর আহত পলাশ দাশকে লামা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে দ্রুত সরকারী এ্যাম্বুলেন্স করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও তার চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার ঢাকা জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শ্রমিক পলাশ দাশ চাম্পাতলী এলাকার জুগেশ কান্তি দাশ এর ছেলে। তার স্ত্রী সহ ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

জানা গেছে, করাতকলে বড় একটি মেহগনি গাছ কাটার সময় অসাবধানতাবশত তার হাতটি স’মিলের করাতের সাথে আটকে যায়। এসময় সম্পূর্ণ হাতটি কেটে যায়। সামান্য একটু চামড়া সাথে লেগে থাকে। দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। শুক্রবার (৩০ মার্চ) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে ও রাত ২ টায় পলাশের ডান হাতটি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়।

এদিকে পলাশের চিকিৎসা করানোর মত আর্থিক অবস্থা নেই বলে তার স্ত্রী শিখা দাশ জানান। তিনি বলেন, এতবড় একটি দূর্ঘটনা হওয়ার পরেও গাছের সমিলের ভাড়াটিয়া মো. হারুণ দায়সাড়াভাবে দুই দফায় ৬ হাজার টাকা দিয়ে সরে পড়েছে। অন্যদিকে সমিল মালিক মো. কামাল উদ্দিন সহায়তা তো দূরের কথা একবারের জন্য ফোন করেও খবর নেয়নি। ।

আহত পলাশের স্ত্রীর বড় ভাই খোকন দাশ বলেন, দুই দিনে চট্টগ্রাম ও ঢাকা নেয়ার বিষয়ে এই পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। আরো প্রায় লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। আমাদের কাছে কোন টাকা পয়সা নেই। সমাজের সবাই কাছে হাত পেতে চিকিৎসা খরচের টাকা তুলছি। পরিমাণ খুবই অল্প। এই টাকা দিয়ে ভগ্নিপতির চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ আছে।

আমি সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষের সহযোগিতা কামনা করি। সবার সহায়তা পেলে অসুস্থ ‘পলাশ’ তার স্ত্রী ও সন্তানদের মাঝে আবারো ফিরে আসতে পারবে। সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা- সমির দাশ (শ্যালক), বিকাশ নাম্বার- ০১৮২৯ ৩০৩৮১৯ (পার্সোনাল)।

লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, এমন মর্মান্তিক দূর্ঘটনা খুব কম দেখেছি। তার হাতটি কেটে ফেলতে হবে। প্রচুর রক্তখনন হয়েছে। তাকে রক্ত দেয়ারও প্রয়োজন আছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে না পারলে বাঁচানো কষ্ট হবে।

পাঠকের মতামত: