ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

লামায় উপজাতি দম্পত্তি হত্যার ঘটনায় মুল আসামী গ্রেফতার

Photo 02.04.17 (2)Lama Photo 25.03.17 -মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উপজাতি দম্পত্তি ক্যাহ্লাচিং মার্মা (৭০) ও তার স্ত্রী চিংহ্লামে মার্মা(৬৫) খুনের মুল আসামী হিসেবে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল, একই পাড়ার ক্য¤্রাচিং মার্মার ছেলে মংহাই চিং মার্মা(২২) ও খাগড়াছড়ি জেলার সদরের হাদেক পাড়ার ধর্মজয় ত্রিপুরার ছেলে এলিও ত্রিপুরা প্রকাশ রাহুল ত্রিপুরা (২১)।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, হত্যা ঘটনার পর থেকে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালিয়ে ১লা এপ্রিল শনিবার চট্টগ্রামের ইপিজেট এলাকার ব্যারিষ্টার সুলতান আহমদ কলেজের সামনে থেকে ২জনকে আটক করে। এই মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে পূর্বে আরো ৪জনকে আটক করা হয়। তারমধ্যে ১জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী অফিসার লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক খাইরুল হাসান জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় আটক মংহাই চিং মার্মা ও এলিও ত্রিপুরা ২জন দোষ স্বীকার করে লামা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী প্রদান করে। আটককৃতদের কাছ থেকে খুন হওয়া দম্পত্তি ২জনের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। খুনের ঘটনায় ৩জন জড়িত ছিল। ২ বন্ধুকে অধিক টাকা পাওয়া যাবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে মংহাই চিং মার্মা এই কাজে উৎসাহিত করে। অপর ১ জনকে আটককের চেষ্টা চলছে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত দা জব্দ করা হয়েছে।

বান্দরবান পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় খুনের ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক খাইরুল হাসানকে সহায়তা করার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা করেছেন। সহায়তা কমিটির সদস্যরা হল, উপ-পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান, খাইরুল হাসান, খালেদ মোশারফ, গিয়াস উদ্দিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক উত্তম কুমার, পরিক্ষিৎ দেবনাথ ও মোঃ হাবিব।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর পূর্ব ছোট মার্মা পাড়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়েছিল সাবেক ইউপি মেম্বার উপজাতি দম্পত্তি ক্যাহ্লাচিং মার্মা (৭০) ও তার স্ত্রী চিংহ্লামে মার্মা (৬৫)।

পাঠকের মতামত: