মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::
অতিদরিদ্র ও মৌসুমী বেকার শ্রমিক পরিবারের জন্য কর্মহীন মৌসুমে স্বপ্লমেয়াদী কর্মসংস্থান এবং কর্মক্ষম দুস্থ পরিবারগুলোর সুরক্ষার উদ্দেশ্যে ‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি’ (ইজিপিপি) প্রকল্প চালু করে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে লামা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ৯৭৯টি কার্ডের বিপরীতে (১ম পর্যায়ে) ৭৮ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। কার্ড প্রতি ১জন শ্রমিক ৪০ দিনের কাজের বিনিময়ে ৮ হাজার টাকা পাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু লামা উপজেলায় বাস্তবায়িত উক্ত ইজিপিপি কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়ম, শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ, অতিদরিদ্রের বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দের ও ধনবান লোকজনকে সুবিধাভোগী করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সুবিধাভোগীর জায়গায় কাজের মাষ্টার রোলে খোদ ইউপি মেম্বার ও মহিলা মেম্বারদের নাম দেখা গিয়েছে। এতে করে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও সরকারের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
আজিজনগর ইউনিয়নের ইজিপিপি কর্মসূচির কয়েকজন শ্রমিক বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের হরিণঝিরি, ক্যাংঝিরি হইতে সোলেমান বাজার হইয়া মিজান পাড়া, ভায়াছোট চিউনী পর্যন্ত শাখা প্রশাখা রাস্তা সংস্কার কর্মসূচিতে ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার এম.ডি মো. রুকন ও ৪,৫ও ৬ নং ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার কহিনুর বেগম এর নাম রয়েছে। অতিদরিদ্রদের কর্মসূচিতে ইউপি মেম্বারের নাম দিয়ে অনেক গরীব মানুষের হক নষ্ট করা জনপ্রতিনিধিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন। আরো জানা গেছে, ভুয়া নাম দিয়ে টাকা তোলে আত্মসাৎ করেছে ইউপি মেম্বার, সচিব ও চেয়ারম্যানগণ। একই চিত্র উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে।
ইউপি মেম্বার এম.ডি মো. রুকন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মাষ্টার রোলে আসা নামটি আমার নয়। আরেক সদস্য কহিনুর বেগম এর মুঠোফোনে কল করে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তর্পণ দেওয়ান বলেন, বিষয়টি চরম অনিয়ম। কিছু অনিয়মের কথা আমার কানেও এসেছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: