নিউজ ডেস্ক :
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের পথে যাত্রা করেন তিনি।
চিকিৎসার জন্য এই সফর বলা হলেও তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ আগ্রহ রয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, তার নেত্রী চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন।
লন্ডনে তারেক রহমান আছেন, যিনি বিএনপিতে মায়ের পরের পদটিতে রয়েছেন। দেশে হুলিয়া নিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকা ছেলের সঙ্গে প্রবাসেই খালেদা জিয়া মিলিত হচ্ছেন গত এক দশক ধরে।
এই সফরেও খালেদা ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থাকবেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন। সেখানে তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান ছাড়াও প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি, তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানও রয়েছেন।
সফরে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে রয়েছেন একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ও গৃহকর্মী ফাতেমা আখতার।
তার সঙ্গে একই বিমানে লন্ডন গেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।
আগের দিন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঢাকা থেকে এবং ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ব্যাংকক থেকে লন্ডন গেছেন।
নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা এবং আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার আগে খালেদার এই লন্ডন সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আগ্রহ রয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বলে আসছেন, প্রবাসে থাকা জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের ইশারাই বিএনপি পরিচালিত হয়।
যাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া, সেখানে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।
২০০৬ সালে ক্ষমতা হারানোর পর যুক্তরাজ্যে খালেদার এটি তৃতীয় সফর।
পাঠকের মতামত: