ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্প এখন ইয়াবার হাট

উখিয়া প্রতিনিধি ::
মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো এখন ইয়াবার হাট হিসেবে পরিনত হয়েছে। সরকারী বেসরকারী এনজিও সংস্থার ভুরি ভুরি ত্রান সামগ্রী ও নগদ টাকা পেয়ে সাবলম্বি এসব রোহিঙ্গারা আরও উন্নত জীবনের আশা করে জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা পাচারে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা নারীরা ইয়াবা পাচারে বাহক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় অনেক সময় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহীনির নজরদারীর বাহিরে থাকে। শনিবার ভোর রাতে উখিয়া থানা পুলিশ কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার ৪শ পিচ ইয়াবা সহ মৃত হাবিবুল্লার ছেলে ছব্বির আহম্মদ(৩০)কে গ্রেফতার করেছে।
২০১৭ সালের ২৫শে আগষ্ঠের পর থেকে যে সমস্ত রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়েছে উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে এসব রোহিঙ্গাদের পুজি মিয়ানমারের (কিয়াত) বিনিময়ে ইয়াবা নিয়ে এদেশে চলে এসেছে যাতে তারা অতি সহজে ঐসব ইয়াবা হাত বদল করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। বর্তমানে এই ইয়াবা পাচারের ধারাবাহিকতায় দিন দিন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বলে খোত রোহিঙ্গা নেতারাই জানিয়েছেন। কুতুপালং ক্যাম্পের হেড মাঝি সিরাজুল মোস্তফা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ কিছু রোহিঙ্গা রয়েছে যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। এসব রোহিঙ্গারা বালুখালীর পূর্বপাড়া নাফ নদী পার হয়ে সরাসরি ক্যাম্পে চলে আসে ইয়াবার চালান নিয়ে। গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ৪/৫জন ইয়াবা কারবারী মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে বালুখালী পূর্ব পাড়া নাফ নদী পাড় হয়ে এপাড়ে পৌছে। সেখানে অপেক্ষমান আরও ৪/৫জন ইয়াবা কারবারির মধ্যে টাকা লেনদেন নিয়ে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারিদের গুলিতে বালুখালী গ্রামের মৃত মো: ছৈয়দের ছেলে নাজমুল গুলিবিদ্ধ হয়।
পূর্বাঞ্চলীয় ইয়াবা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট এ টি এম রশিদসহ আরও বেশ কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী অভিযোগ করে জানান, ডেইলপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গাদের মাধমে ইয়াবার চালান সরাসরি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌছে যাচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এসব ইয়াবা স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করার কারনে স্থানীয় যুব সমাজ লেখাপড়া ছেড়ে ইয়াবাসক্ত হয়ে পড়েছে। উখিয়া থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে ডেইলপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্শীষ ইয়াবা কারবারি মৃত মৌলভী বাদশা মিয়ার ছেলে রফিক আলমকে না পেয়ে তার স্ত্রী সোনা খাতুন (৩৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে উখিয়া থানার ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম মজুমদার জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: