ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা আলমরজান যেভাবে বাংলাদেশি মর্জিনা হলেন

নিউজ ডেস্ক :: মিয়নমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অনেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শহরে। তারা ঢাকা চট্রগ্রাম সহ বিভিন্নস্থানে গড়ে তুলছে স্থায়ী আবাস। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে হাতিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয় পত্র। তেমনই একজন মিয়ানমারের মংড়ু লম্বাঘোনা গ্রাম থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা অলমরজান। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কয়েকমাস উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার পর পাড়ি জমিয়েছে চট্রগ্রামে। সেখানে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে হাতিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয় পত্র। নাম বদলে হয়েছেন রোহিঙ্গা আলমরজান থেকে বাংলাদেশি মর্জিনা। বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী রোহিঙ্গা মর্জিনার এখনো যাতায়াত আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক হুন্ডি ও চোরাই স্বর্ণ বানিজ্যের অভিযোগ।

ক্যাম্প সুত্রে জানা যায়,বাংলাদেশি নামধারী মর্জিনার ৩ মেয়ে ও ৩ ছেলের মধ্যে এক মেয়ের অবস্থান এখনো কুতুপালং ক্যাম্পে ডি ৫ এ। তার নাম সমিরা। স্বামীর নাম মৌলভী ইয়াচিন। মেয়ে জামাই ইয়াচিনকে দিয়েই মর্জিনা চালিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্প ভিক্তিক হুন্ডি ও চোরাই স্বর্ণ বানিজ্য।

মর্জিনার দেবর মধুরছড়া ক্যাম্প বাজারে বিকাশের দোকানদার রোহিঙ্গা সাইদুর জানান,তার ভাই আবু সিদ্দিক বিদেশে রয়েছে। তার ভাবী আলমরজান ৫ ভাইপো ভাইজি সহ চট্রগ্রামের কালামিয়া

বাজারে ভাড়া বাসায় রয়েছে। তবে তিনি এখন মর্জিনা নামেই ক্যাম্পে পরিচিত। এক ভাইজি কুতুপালং ডি ৫ এর মৌলভী ইয়াচিনের স্ত্রী। নাম সমিরা। শুনেছি ভাবী বাংলাদেশি পরিচয় পত্র নিয়েছি। কিভাবে নিয়েছে তা জানিনা। তবে ভাবি প্রায় সময় এখনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসে। ভাইপো ইসফাতুর রহমানের নামে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রেশন কার্ড। যার নং-১০৯২০১৭১০০৫১০৩৫৩৯। যদিও এই রেশন কার্ড দিয়ে এখন আর রেশন তোলা হয়না। এর বেশী তিনি জানাতে রাজি হননি। জানা যায়,চট্রগ্রামে ভাড়া বাসায় অবস্থান করে মেয়ে জামাই ইয়াচিনে

র মাধ্যমে মর্জিনা গড়ে তুলেছে ক্যাম্প ভিত্তিক হুন্ডি ও চোরাই স্বর্ণ ব্যবসার সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্যাম্পে কোটি টাকার হুন্ডির লেনদেনের পাশাপাশি চোরাই স্বর্ণ বানিজ্য করে কোটি টাকার মালিক এখন মর্জিনা। চট্রগ্রামে নামে বেনামে রয়েছে একাধিক একাউন্ট। এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা মর্জিনার মোবাইল নাম্বার ০১৮৭৪৪৩০২৫১ এ যোগাযোগ করে তিনি রোহিঙ্গা স্বীকার করলেও হুন্ডি ও স্বর্ণ বানিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এসব তথ্য আপনাকে কে দিয়েছে? আমি কালামিয়া বাজার আছি,নিউজ করার দরকার কি,আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই।

পাঠকের মতামত: