রামু উপজেলার গর্জনিয়ায় এলাকায় উদ্ধার হওয়া সাতকানিয়ার উপজেলা দুই শিশু শিক্ষার্থীকে অভিভাবক ও শিক্ষকের কাছে হস্তান্তর করেছেন, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিনা কাজী। হস্তান্তর করা শিক্ষার্থীরা হলো, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বারদুনা শরীফপাড়ার মো. ইলিয়াছের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (৯) ও একই এলাকার মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে মো. মহি উদ্দিন (৯)। এরা দুজনই আমিরাবাদ নতুনবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা ইমরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার (৪ এপ্রিল) রাতে তিনি গর্জনিয়া রাজঘাট এলাকায় ওই দুই শিশুকে দেখে তাদের পরিচয় জানতে চান। বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হলে তিনি শিশুদের নিজ হেফাজতে রেখে দেন এবং গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে বিষয়টি রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। এরপরই তিনি শিশুদের অভিভাকদের কাছে হস্তান্তর করার উদ্যোগ নেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিনা কাজী বলেন, উদ্ধার শিশুরা তাকে পরিচয় জানালে তিনি লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী মোহাম্মদ ফিজনূর রহমানের সহায়তায় ওই শিশুদ্বয়ের অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন।
বিষয়টি জানার পর গতকাল দুপুরে শিশু মহি উদ্দিনের মা নুর জাহান, ইসমাইলের মামা দেলোয়ার হোসাইন এবং আমিরাবাদ নতুনবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজির আহমদ গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিনা কাজী শিশুদ্বয়কে তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিশুদের অভয় দেন এবং ভবিষ্যতে সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তিনি অভিভাবকদেরও সন্তানদের নিরাপত্তায় সজাগ হওয়ার আহবান জানান।
শিশুদের অভিভাকরা জানান, সোমবার থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। হয়তো তারা কৌতুহলবশত এখানে চলে এসেছে। তবে তাদের কেউ অপহরণ বা অন্য কোন কারনে নিয়ে আসেনি। সন্তানদের উদ্ধার করে তাদের কাছে হস্তান্তর করায় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা ইমরুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: