নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীসহ জেলার ৮ উপজেলার সকল প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা বশির আহমদ, সকল সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের সকলস্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেলা প্রধান, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার সকল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। সভায় বক্তব্য রাখেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি সকল প্রার্থীরা।
জেলা প্রশাসনের সভায় নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ নিয়ে এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের নানা ধরণের প্রভাব বিস্তার সর্ম্পকে অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগনের মনোনীত নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ক্রীড়া সংগঠক ও শ্রমিকনেতা আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। ওইসময় তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ ও রির্টানিং কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করে নির্বাচনে নানা ধরণের অসংহতি তুলে ধরেন। তিনি আগামী ১৮ মার্চ অবাধ ও সুষ্ঠভাবে চকরিয়া উপজেলায় একটি শান্তিপুর্ণ নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় তিনি বলেন, আপনারা জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অভিভাবক ও ন্যায় বিচারক। আল্লাহ পাক ন্যায় বিচারকদের অবশ্যই মর্যাদা দেবেন। আশাকরি আল্লাহ পাকের নির্দেশনার আলোকে আপনারা ন্যায় বিচারকের ভুমিকা পালন করবেন। আপনাদের কঠোর নজরদারিতে আগেররাতে ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা ভন্ডুল হবে। একটি শান্তিপুর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে চকরিয়া উপজেলার আপামর জনগন আনারস মার্কায় ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে।
জেলা প্রশাসনের সভা শেষে এদিন বিকালে আনারস মার্কার সমর্থনে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক গনসংযোগ করেছেন নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তারুণ্যের অহংকার আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। পাশাপাশি কয়েকটি পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যও দেন তিনি।
পথসভায় জনগনের উদ্দেশ্যে ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আমি সংগ্রামী চকরিয়াবাসি আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও দোয়া নিয়ে জনগনের কল্যানে কাজ করতে ও দুষ্টের দমন করতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া নেই। নির্বাচনে অংশনেয়ার আগে দলের জেলা ও চকরিয়া উপজেলার সিনিয়র নেতা এবং তৃনমুলের সকলস্তরের নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী আমার সঙ্গে আছে। নেতাকর্মীরা আমাকে সাহস দিচ্ছেন। কাজেই আমি প্রিয় চকরিয়াবাসি এবং আওয়ামীলীগের সকলস্তরের নেতাকর্মীর প্রতি অনুরোধ জানাবো আপনারা আমার উপর আস্থা রাখুন, আনারস মার্কাকে বিজয়ী করুন। আমার নেতাকর্মী, সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানো পরিহার করুন, একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সবাই সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, প্রিয় চকরিয়াবাসি আপনারা প্রস্তুত থাকুন, জনবিচ্ছিন্ন চক্রের এই পরিকল্পনা কঠোর হাতে প্রতিরোধ করতে হবে। আপনারা সকল ধরণের ভয়ভীতিকে পদদলিত করে আগামী ১৮ মার্চ সারাদিন ভোট কেন্দ্রে থাকুন, ভোট কেন্দ্র পাহঁরা দেবেন। ইনশাল্লাহ আপনাদের ভোটে বিজয়ী হলে আপনারা দলমত নির্বিশেষে চকরিয়া উপজেলার আপামর জনসাধারণ হবেন শাসক, আমি হবো আপনাদের সেবক। আমি আপনাদের ভালোবাসা ও আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পরিমল বড়–য়া, আওয়ামীলীগ নেতা মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আমীন টিপু, যুবলীগ নেতা সৈয়দ মইনউদ্দিন হাসান সজিব, চকরিয়া পৌরসভা দুইনম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজেম উদ্দিন ভুট্টো, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম নুরুস শফি, চকরিয়া পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল বসরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত কবির বাপ্পী, সাবেক ছাত্রনেতা আশেকুর রহমান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিত, পৌর যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন।
পাঠকের মতামত: