ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার থেকে :::
আদালতের মামলা নিষ্পত্তিতে সবার আন্তরিকতা থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম। তিনি বলেন, জেলায় সর্বমোট ৬৬ হাজার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলার বয়স বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে জেলা ও দায়রা জজ এর সম্মেলন কক্ষে বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে মীর শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। এসময় তিনি দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিচার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত বিজ্ঞ বিচারকগণ, পুলিশ বিভাগ, র্যাব, বিজিবি, সরকারী আইন কর্মকর্তা ও সিনিয়র বিজ্ঞ আইনজীবিগণসহ উপস্থিত সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সমন্বয় সাধনের আহ্বান জানান।
দেওয়ানী ও ফৌজদারী মোকদ্দমার বিচার নিষ্পত্তিতে উদ্ভুত সমস্যা ও বিলম্বের কারণসমূহ চিহ্নিতকরণ ও উত্তরণের উপায় সম্পর্কে সভায় বক্তব্য রাখেন পাবলিক প্রসিকিউটর মমতাজ আহমদ, জি.পি ও আইনজীবি সমিতির সভাপতি মো. ইসহাক, সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. মঈন উদ্দিন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ, কারা সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ, বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার, সিভিল সার্জন ডা. পুঁচনু, ডা. মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর প্রমূখ। সভায় কক্সবাজার আদালতের সিনিয়র আইনজীবীরা বিরাজমান সমস্যা সমূহ সমাধানকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অভিমত প্রদান করেন।
সিনিয়র সহকারী জজ অসীম কুমার দে’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সহকারী জজ ও ভারপ্রাপ্ত লিগ্যাল এইড অফিসার মোঃ আবুল মনসুর সিদ্দীকী।
বিচারকার্যের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন- চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওসমান গনি, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসাইন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অরুন পাল, নিশাদুজ্জামান, মোঃ নেজাম উদ্দিন, মাহমুদুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, সুশান্ত প্রসাদ চাকমা, মোঃ সিরাজ উদ্দিন এবং সিনিয়র সহকারী জজ শফিউল আলম, কনক বড়–য়া ও আসমা বেগম।
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ তাঁর বক্তব্যে সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক প্রকাশিত ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারার আলোকে প্রণীত নির্দেশাবলী আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থা ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণের জন্য অবশ্যই অনুসরণীয় মর্মে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেন।
কর্মসূচীতে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে/অপরাহ্নে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারকগণ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণ পৃথক আলোচনা সভায় নিজ নিজ প্রতিবেদনসহ দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্ভুত সমস্যাসমূহ চিহ্নিতক্রমে ভবিষ্যত কর্মপন্থাসহ সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়।
পাঠকের মতামত: