অনলাইন ডেস্ক :: দেশ থেকে মাদক নির্মূলের অঙ্গীকার করেছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলো যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, তেমনিভাবে মাদকের গডফাদারদেরও মাজায় রশি পরিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ সপ্তাহের র্যালি উপলক্ষে এক বক্তব্যে কমিশনার এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর আমরা একের পর এক জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছি। ভেঙ্গে ফেলেছি জঙ্গি নেটওয়ার্ক। জঙ্গিবাদ আর আগামীতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। মাদক ব্যবসায়ীরা যতবড়ই হোক, যত শক্তিশালীই হোক আর যে শ্রেণি পেশারই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে সময় লাগবে না।
একইসঙ্গে, রাজধানী ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দিনে ও রাতে মা-বোনেরা বাইরে বের হবে কেউ তাদের বিরক্ত করবে না, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে কেউ চাঁদা চাইবে না, প্রবাসী ভাইদের জমি ফ্ল্যাট কেউ জোর করে দখল করবে না। আমরা ঢাকাকে সেইরকম বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়তে চাই।
কমিশনার আরও বলেন, এবারের পুলিশ সপ্তাহ থেকে আমরা শিক্ষা নিতে চাই, সেবার মানসিকতা নিয়ে আমরা দায়িত্ব পালন করব, অযথা কাউকে হয়রানি করা হবে না, থানায় গিয়ে মানুষ যাতে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়। কোনো পুলিশ সদস্য যাতে বকশিশের নামে উৎকোচ নিতে না পারে, পুলিশের কোনো সদস্য যাতে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে না পারে, তারা যাতে নিরীহ লোকের পাশে থেকে সাহস যোগাতে পারে। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই, নগরবাসীর সহায়তায় এই শহরে কোনো মাদক থাকবে না, মাদকের কোনো আস্তানা থাকবে না, যেখানেই মাদক সেখানেই পুলিশের যুদ্ধ করতে হবে। এই শহরে কোনো ছিনতাই থাকবে না, ছিনতাইয়ের ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হবে না এমনটা থাকবে না। একটি নিরাপদ নগরী সকলকে উপহার দিতে চাই।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নগরবাসীকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে নানানভাবে কাজ করছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। রাত-দিন পরিশ্রম করে পুলিশ সবকিছু স্বস্তির জায়গা আনতে চেষ্টা করছে। কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামীতে সেগুলো বাস্তবায়ন হলে নগরীতে যানজট সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এক্ষেত্রে জনগণ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হচ্ছে, আগামীতে সকলে আরও বেশি সচেতন হবে।
তিনি বলেন, নতুন নতুন পরিকল্পনা, সিসিটিভি স্থাপন ও কল সেন্টার হওয়ার ফলে নগরীতে আগের চেয়ে অপরাধের মাত্রা প্রায় শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। এরপরেও দু-একটি ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। অপরাধীকে পাকড়াও করা হচ্ছে। অপরাধী আর পালাতে পারবে না। কারণ ৮০ লাখ লোকের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। অপরাধী যেখানেই যাক না কেন তাকে ধরা খুব সহজ হয়েছে।
সারাবাংলা
পাঠকের মতামত: