ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্ব পানি দিবস আজ ‘পানিসম্পদ ধ্বংসের জন্য মানুষ দায়ী’

পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক দুর্গম এলাকায় এখনো বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট রয়েছে। এসব এলাকার লোকজন ছড়া বা কুয়ার পানি ব্যবহার করে। ছড়া থেকে শিশুদের খাবার পানি সংগ্রহ করার ছবিটি সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম শুকনাছড়া এলাকা থেকে তোলা।

অনলাইন ডেস্ক ::

পানিসম্পদ ধ্বংসের জন্য মানুষই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন কখনো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধে তবে সেটা পানি নিয়েই হবে। বিশ্বব্যাপী পানিসম্পদ অবস্থা দিনদিন খারাপ হচ্ছে। সেজন্য আমরাই দায়ী। প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এখন সেটা পুনরুদ্ধারে আমাদের প্রকৌশলী ও নীতিনির্ধারক মহলসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’

তিনি গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুর ও পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং ২০১৮’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ও পুরকৌশল কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভূঁইয়া। এতে সভাপতিত্ব করেন পুর ও পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার।

অধ্যাপক মান্নান বলেন, ‘চট্টগ্রামের চাক্তাই খালে একসময় আকিয়াব বন্দর থেকে পণ্যবাহী বড় বড় জাহাজ আসত। সেই চাক্তাই খালের অস্তিত্ব এখন খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ পানি ও পানিসম্পদের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমানে দখল ও দূষণের কারণে আমাদের দেশের পানি ব্যবস্থাপনা মারাত্মক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। সেক্ষেত্রে এ ধরনের কনফারেন্স দেশের নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমস্যা, সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাব্য করণীয় বেরিয়ে আসবে। এতে করে সরকারের কাছে পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমস্যাবলি তুলে ধরা সম্ভব হবে। একইসাথে পানি ও নদী রক্ষার দাবিও জোরালো  হবে।’

পাঠকের মতামত: