বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘দেশে যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ তৈরি করেছে তাদের সাথে ঐক্য করে কোন লাভ হবে না।’
বিএনপির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের বেশির ভাগ উগ্রপন্থী ধর্মীয় রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘জঙ্গিবাদী শক্তিকে রক্ষা করার জন্যই বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলে থাকে।’
মাহবুব-উল-আলম হানিফ আজ দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাঈল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।
জঙ্গীবাদ দমনে বিএনপির ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে বিএনপির বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে জঙ্গিবাদী শক্তির সাথে তাদের যোগসাজশ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের অভিযানের সময় তার বিরুদ্ধে বিএনপি নানা ধরনের বক্তব্য প্রদান করে থাকে। তাদের এ ধরনের বক্তব্যই প্রমাণ করে যে দেশে জঙ্গিবাদী নাশকতার পেছনে তাদের সমর্থন রয়েছে।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অশুভ শক্তি জামায়ত দেশে তৎপর। আর বিএনপি-জামায়াত হলো এক ও অভিন্ন। তারা পাকিস্তানের নির্দেশে পরিচালিত হয়।
তিনি আরো বলেন, তারা যেমন দেশের ভাল চায় না তেমনি ইসলাম ধর্মেরও ভালো চায় না। ইসলাম ধর্মের পবিত্রতা নষ্ট করার জন্য তারা মুসলমানদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী হিসেবে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করতে চায়।
হানিফ বলেন, আর তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মানতে নারাজ হলেও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে জাতির পিতা মানতে তাদের কোন সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার জন্য তার জীবনের বেশির ভাগ সময় জেলে কাটিয়েছেন এবং দেশে ইসলামের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। আর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পশ্চিমা ধাঁচের জীবন যাপন করতেন।
সদ্য সমাপ্ত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে হানিফ বলেন, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হয়েছে।
দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলীয় পদে থেকে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দলকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেবে তা বরদাশত করা হবে না। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুমিল্লা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজয়ের মাধ্যমে সরকারের প্রতি জনগণের কোন আস্থা নেই বিএনপির এমন দাবির জবাবে হানিফ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারের প্রতি আস্থা ও অনাস্থার কোন বিষয় জড়িত থাকে না।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা আছে কি নেই তা আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেখা যাবে। জাতীয় নির্বাচনে আসুন, তখন দেখা যাবে দেশের মানুষের আস্থা কি আওয়ামী লীগের প্রতি না বিএনপির প্রতি রয়েছে।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সারা বিশ্বে যেভাবে জঙ্গিবাদী শক্তিকে মোকাবেলা করা হয় সেভাবেই আমাদের দেশেও তাদের মোকাবেলা করা হবে।
তিনি বলেন, কারণ গণতান্ত্রিক শক্তির সাথে গণতান্ত্রিক শক্তির আলোচনা হতে পারে। কিন্তু কোন জঙ্গিবাদী শক্তির সাথে গণতান্ত্রিক শক্তির কোন আলোচনা হতে পারে না।বাসস
পাঠকের মতামত: