মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানে আবারও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা ১১টায় বান্দরবান-রুমা সড়কের দৌলিয়ান পাড়া এলাকায় ভাঙা রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন বিডি২৪লাইভ.কম জানিয়েছেন, এ পাহাড়ধসে পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং গাড়ীর ১১ যাত্রী আহত হয়েছে।
সেনাবহিনীর প্রকৌশল বিভাগ ১৯ ইসিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইফতেখার ঘটনাস্থল থেকে জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেলা ১১টার দিকে বান্দরবান থেকে রুমা উপজেলার পথে এবং রুমা থেকে বান্দরবানের দিকে দুটি যাত্রীবাহী বাস দৌলিয়ান পাড়া এলাকায় আসে। এ এলাকা আগেই পাহাড়ধসে ভেঙে যায়। এখান দিয়ে কোনো যানবাহন চলে না। ফলে যাত্রীরা এখানে নেমে হেঁটে এলাকাটি অতিক্রম করে পুনরায় যানবাহনে ওঠেন। আজ সকালেও দুই বাসের যাত্রীরা সেভাবেই ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময়ই তাঁদের ওপর পাহাড় ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিক তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। পাঁচ বাসযাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান একটি বাসের হেলপার স্বপন দাস। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
বান্দরবানের মৃত্তিকা সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখনো ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
পাহাড়ধসের ঘটনা পরিদর্শনে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন অবিরাম বর্ষণে বান্দরবান-রুমা উপজেলা সড়কের দলিয়ানপাড়া এলাকায় পাহাড়ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেনাবাহিনী কয়েক দফায় পাহাড়ের মাটি সরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় তা পারা যায়নি। তবে সড়কের দুই পাশে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
পাঠকের মতামত: