ঢাকা: বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুষ্ঠানের স্থলগুলো জনশূন্য করে ফেলবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো বলেন, “পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এবার পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশের যেখানেই উন্মুক্ত স্থানে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান হবে, আয়োজকদের তা বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। শিগগিরই আমরা ৫টার পরে অনুষ্ঠান করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব।”
এবার পয়লা বৈশাখে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উন্মুক্ত অনুষ্ঠানস্থল খালি করে ফেলবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে।”
মুখোশ পরার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, মঙ্গল শোভাযাত্রা বা আনন্দ মিছিলে চেহারা লুকানো যায় এমন ধরনের মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গতবারের মতো এবারও নারী লাঞ্ছনার মতো ঘটনার আশঙ্কা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আগের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এবার বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। যেখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটবে, সেখানেই পুলিশ অপরাধীদের ধরতে পারবে।” এ সময় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি।
গত বছরের নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় কাউকে চিহ্নিত করা গেছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এসব অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। ব্যাপক ভিড় থাকে। সিসিটিভির ফুটেজ অস্পষ্ট, পরিষ্কার বোঝা যায় না। তার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক চেষ্টা করে একজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। এখন তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।”
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রতিবছর ১৪ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এসব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে।
সর্বশেষ গত বছর পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারীদের যৌন হয়রানি করে দুর্বৃত্তরা।
পাঠকের মতামত: