ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

hasinaচকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা (ফাইল ছবি)ফুল দেওয়ার পর এসময় সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি, তখন বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এসময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে সশস্ত্র সালাম প্রদর্শন করা হয়। এরপর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর পর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও স্পিকার শিরীন শারমিন। এসময় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা জানানোর পর দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ফুল দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও। এসময় বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া শেষে ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে ঢোকেন দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। তারা বাড়িটি ঘুরেফিরে দেখেন। সেখানে রাখা জিনিসপত্র ও ছবিগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে স্মৃতি রোমন্থন করেন। সেখানে নফল নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াৎ করেন তারা। এরপর শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু গুলিবিদ্ধ হয়ে যে সিঁড়িতে পড়েছিলেন সেখানে গোলাপের পাঁপড়ি ছড়িয়ে দেন।
এরপর সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে গিয়ে নিহত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চলে যাওয়ার পর স্থানটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে, ভোর থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। যারা এসেছেন তাদের বেশিরভাগের পরনে ছিল কালো পোশাক। এছাড়া ৩২ নম্বরের আশপাশের এলাকাও কালো পতাকা, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে।

পাঠকের মতামত: