নিউজ ডেস্ক ::
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, প্রার্থীর নিরাপত্তা দেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি ১৪ জন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদি কোনো প্রার্থী অভিযুক্ত হয়, নির্বাচনের সময় সেই প্রার্থীকে আপনি প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেবেন। যদি তার বিরুদ্ধে আভিযোগ থাকে তাহলে নির্বাচনের পরে যথাযথ আইনে তার বিচারকার্য চলতে থাকবে। মঙ্গলবার ‘ইনডিপেনডেন্ট টিভি’র টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন যে অবস্থা বিরাজ করছে, নির্বাচন কমিশন চাইলেও শতভাগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তারা দিতে পারবে না। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা যায় না। তারপরও অনেকগুলো জায়গা আছে যেমন, গাড়ীবহরে হামলা। নির্বাচন কমিশন যদি সেটার তদন্ত না করে, সেটার বিরুদ্ধে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে কখনও সমান সুযোগ তৈরি হবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকলে নির্বাচন একটা বিশ্বাস যোগ্যতায় স্থান পায়। তারা দেখতে পারে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। পরে তারা একটা রিপোর্ট প্রকাশ করে। আমরা এখনও ঐ অবস্থায় যাইনি, যে আমরা বলতে পারবো আমাদের নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত হয়েছে এবং আমাদের কোনো পর্যবেক্ষক প্রয়োজন নেই।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের দেশে সিকিউরিটি ফোর্স যারা রয়েছে, আসলে তাদের কার কি কাজ এটার নির্দিষ্ট কোনো ম্যানুয়াল নেই। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কে কোথায় যাচ্ছে, কার কি দায়িত্ব এটা ঠিক করা খুব কঠিন। ইতিমধ্যে ১ হাজার ১৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন হয়েছে, তারা কি কাজ করবে এর একটা নির্দিষ্ট ম্যানুয়াল থাকা উচিৎ। আমরা সেটা তৈরি করতে পারিনি। এর জন্য আমরা এখনও ঠিক করতে পারিনি আসলে আমাদের কতটা সিকিউরিটি ফোর্স দরকার।
সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাচ্ছে কি না সেটাই হচ্ছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করতে হবে, সেটা কিন্তু নয়। প্রচার মাধ্যমকে আপনি সমান সুযোগ দিচ্ছেন কি না, সেটাও নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করতে পারেন। প্রচার প্রচারণায় আপনি সবাইকে সমান সুযোগ দেবেন, সেজন্য ‘কোড অফ কন্টাক্ট’ তৈরি করা হয়েছে। এটা নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন, সরকার নয়।
পাঠকের মতামত: