ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় যৌতুকলোভী স্বামীর নির্যাতনে ৩ সন্তানের জননী হাসপাতালে!

22118113_471645686552972_2030465946_oমুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া:

পেকুয়া উপজেলায় যৌতুকলোভী স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে গৃহবধূ ও তিন সন্তানের জননী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহত গৃহবধূর নাম মোরশেদা খানম (৩৫)। সে টইটং ইউনিয়নের পন্ডিত বাড়ী গ্রামের মৃত কবির আহমদের কন্যা। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের কাচারী পাহাড় গ্রামে।

পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ সেপ্টেম্বর বিকালে গৃহবধূ মোরশেদা খানম এ প্রতিবেদককে জানান, প্রায় ১২ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের কাচারী পাড়া গ্রামের কবির হোসেনের সঙ্গে ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক বিয়ে হয়েছিল। দীর্ঘ সংসার জীবনে বর্তমানে তিনি তিন পুত্র সন্তানে জননী। বিয়ের পর থেকেই কারণে-অকারণে শাশুড় বাড়ীর লোকজনের ইন্দনে তার স্বামী কবির হোসেন তার উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। প্রায় সময় বাপের বাড়ী থেকে যৌতুকের টাকা এনে দেওয়ার জন্য তার উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। স্বামী ও তার সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে কয়েক দফায় তার বাপের বাড়ী থেকে যৌতুকের টাকা এনে স্বামীকে দিয়েছিলেন। এর পরেও সংসারে তার সুখ ফিরেনি।

নির্যাতিত গৃহবধূ মোরশেদা খানম আরো জানান, ঘটনার দিন গত ২৭ সেপ্টেম্বর আবারো যৌতুকের জন্য তার উপর চাপ সৃষ্টি করছিল তার স্বামী কবির হোসেন। স্বামীর দাবীকৃত যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতনের খড়ক। তাকে লাটি ও লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। সারা শরীরে আঘাতে পর আঘাত করা হয়। যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে তিনি এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তিনি নিজেকে আবিস্কার করেন পেকুয়া সরকারী হাসপাতালের বেডে। তিনি যৌতুক লোভী স্বামী কবির হোসেনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে হস্থক্ষেপ চেয়েছেন।

মোরশেদা খানমের আত্মীয় স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, যৌতুক লোভী কবির হোসেন কর্তৃক নির্যাতনের খবর পেয়ে তার মোরশেদা খানমকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। আগামী রোববার যৌতুক লোভী স্বামীর বিরুদ্ধে তারা কক্সবাজারস্থ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পাঠকের মতামত: