ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ সংষ্কার কাজে অনিয়ম, দেখার কেউ নেই

পেকুয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়া দক্ষিণ সুতাচোরা থেকে আতর আলী পাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫০ চেইন সংষ্কারে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। মানা হচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্দেশিত সংষ্কার কাজের সিডিউল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সংষ্কার কাজে দায়ীত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কক্সবাজার পৌর এলাকার ডালিম বড়ুয়ার নিয়োজিত লোক উজানটিয়া গোদার পাড়া এলাকার সাবেক মেম্বার আহমদ ছফা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি হুমায়ুনের উপস্থিতিতে বেড়িবাঁধের শেকড় থেকে মাঠি কেটে দেয়া হচ্ছে বাঁধের উপরিভাগে। ফলে বেড়িবাঁধে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল এমনকি কিছু কিছু জায়গায় ধ্বসে পড়েছে মাটি।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যোগসাজসের ফলে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ। আহমদ ছফা ও হুমায়ুন কবিরের স্বেচ্ছাচারিতায় হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে উজানটিয়া ইউনিয়নের বসবাসরত প্রায় লক্ষাধিক জনগণ। প্রবল বৃষ্টিপাতে বেড়িবাঁধ তলিয়ে গিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করলে কৃষকের ফসলাদি ও মৎস্যচাষীদের মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়ে অপুরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এর ফলে গ্রাম্য অর্থনীতিতে পড়বে বিরূপ প্রভাব।

বেড়িবাঁধ সংলগ্ন স্থানীয় আবদু রহিমসহ আরো অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সংষ্কার কাজে অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের ভাড়াটিয়া লোক আহমদ ছফা আমাদেরকে মামলা ও হামলার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে। এ বেড়িবাঁধ আমাদের জানমাল রক্ষার বাঁধ। এ কথাটি তাকে বারবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও কর্ণপাত না করে যেনতেনভাবে কাজ চলমান রেখেছে সে।

তারা আরো জানান, অতিদ্রুত এ অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে বর্ষাতে পানির উপর বসবাস করতে হবে আমাদের। আমরা উজানটিয়ার লক্ষাধিক মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

বেড়িবাঁধ সংষ্কার কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম জানান, সংষ্কার কাজের অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। জানার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়ীত্বপ্রাপ্ত এস ও কে বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখতে বলেছি এবং ঠিকাদারের লোক আহমদ ছফাকেও বেড়িবাঁধের সংষ্কার কাজ টেকসই করে সম্পন্ন করতে বলেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুণ চন্দ্র মুঠোফোনে জানান, বেড়িবাঁধ সংষ্কার কাজে অনিয়ম করার সুযোগ নাই। সিডিউল অনুযায়ী কাজ না হলে বিল বন্ধ করে দিবো। তবে ঐ জায়গায় এখন পানি ঢুকে গেছে তাই মাটির অভাব। পানি যখন ছিল না তখন কাজ করেন নাই কেন এ প্রশ্ন করলে এখন ব্যস্ত আছি বলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

পাঠকের মতামত: