নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া :: পেকুয়ায় গ্রীষ্মকালীন আন্ত:স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা চালিয়েছে পরাজিত দলের খেলোয়াড় ও বহিরাগতরা। এতে বিজয়ী দলের ৫ জন খেলোয়াড় আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় পেকুয়া উপজেলা সদরের চৌমুহনী স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রীষ্মকালীন আন্ত:স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীদের উপর এ হামলা চালানো হয়।
আহতরা হলেন, রাজাখালী এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মো. জিসান ও আজম উদ্দিন, দশম শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র সাকিবুল ইসলাম, বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নবীর হোসেন ও মানবিক বিভাগের ছাত্র কাইছার। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে মো. জিসান ও সাকিবুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
রাজাখালী এয়ার আলী খান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার গ্রীষ্মকালীন আন্ত:স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলার নির্ধারিত দিন ছিল। বিকেলে উপজেলা স্টেডিয়ামে এ খেলায় আমার স্কুলের ফুটবল টিমের সঙ্গে পেকুয়া জিএমসি ইন্সটিটিউশনের ফুটবল টিম মুখোমুখি হয়। খেলায় দু’দল একটি করে গোল করে। পরে ট্রাইবেকারে দুটি গোল ঠেকিয়ে জয়ী হয় আমার স্কুলের শিক্ষার্থীরা। খেলা শেষে ফিরে যাবার সময় শিক্ষার্থীরা চৌমুহনী স্টেশনে পৌঁছালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের আহত করা হয়।
রাজাখালী এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, ‘চৌমুহনী স্টেশনে শিক্ষার্থীদের জন্য গাড়ি রাখা ছিল। শিক্ষার্থীরা গাড়িতে উঠতে যাবার পথে পরাজিত দলের খেলোয়াড় ও বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী তাদের ধাওয়া দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ আশ্রয়ে একটি বসতঘরে আশ্রয় নেয়। সেখানে অবরুদ্ধ করে তাদের বেধড়ক পেটানো হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়।
পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ ফ ম হাসান বলেন, ‘হামলার বিষয়টি আমি জানতাম না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আমি জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’ পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাঠকের মতামত: