নিজস্ব প্রতিবেদক :: পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর দিনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই যুবক। তাদের একজন মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন, অন্যজন পেছনে বসে ভিডিও করছিলেন। ওই সময় তাদের মোটরসাইকেলের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০৫ কিলোমিটার। হঠাৎ একটি ট্রাকের সামনে ডানে গিয়ে মোটরসাইকেলের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সামনে পড়ে যান।
এতে গুরুতর আহত হন চালক ও আরোহী। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন- মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)। তারা ঢাকার দোহার-নবাবগগঞ্জের বাসিন্দা। নিহত আলমগীর মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করতেন। আর ফজলু প্রবাসী। একমাস আগে তিনি দেশে এসেছেন।
দুর্ঘটনার পর আলমগীর ও ফজলুকে যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এনেছিলেন, তাদের একজন জয়দেব রায়। তিনি বলেন, ‘ছয়জন বন্ধু মিলে তিনটি মোটরসাইকেলে পদ্মা সেতু দেখতে গিয়েছিলাম। সেতুর জাজিরা প্রান্ত ঘুরে ফেরার সময় মাওয়া প্রান্তে দুর্ঘটনার শিকার হয় আলমগীর ও ফজলু।’
এদিকে, দুর্ঘটনার আগে মোটরসাইকেল থেকে ভিডিও করছিলেন পেছনে বসা মো. ফজলু। হাতে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে সব গাড়িকে ওভারটেক করেন তারা। সেতুর ওপর ৬০ কিলোমিটার বেগে মোটরসাইকেল চালানোর নির্দেশনা থাকলেও তারা তা ভঙ্গ করে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন।
এরপর ধীরে ধীরে মোটরসাইকেলের গতি ৯০, ৯৫, ১০০ থেকে ১০৫ পর্যন্ত উঠতে দেখা যায়। কিছু সময় পর সেই গতি কমে নেমে আসে ৭০-এ। এরপরই হঠাৎ ডানে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের সামনে গিয়ে পড়ে।
অন্যদিকে সোমবার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। রোববার (২৬ জুন) রাতে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করেছে সেতু বিভাগ।
এরপর ধীরে ধীরে মোটরসাইকেলের গতি ৯০, ৯৫, ১০০ থেকে ১০৫ পর্যন্ত উঠতে দেখা যায়। কিছু সময় পর সেই গতি কমে নেমে আসে ৭০-এ। এরপরই হঠাৎ ডানে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের সামনে গিয়ে পড়ে।
অন্যদিকে সোমবার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। রোববার (২৬ জুন) রাতে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করেছে সেতু বিভাগ।
তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে সেতু বিভাগের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
রোববার ভোর থেকেই সব ধরনের যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতু। এরপর থেকে অনেকেই মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন। সেই সঙ্গে ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করছে সেতু দিয়ে। তবে মোটরসাইকেলের উপস্থিতি দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি।
সেতু ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমদিন দুপুর পর্যন্ত যেসব গাড়ি সেতু পার হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশ ছিল মোটরসাইকেল।
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতুর। ওইদিন প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে টোল দেন।
এরপর তার গাড়িবহর সেতু উদ্বোধনের জন্য ফলকের স্থানে যায়। প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিরা গাড়ি থেকে নামেন। সেখানে প্রথমে মোনাজাত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন।
পরে দুপুর ১২টার একটু আগে সুইচ টিপে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এর মাধ্যমেই খুলে যায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের সড়ক পথের দ্বার।
পাঠকের মতামত: