ঢাকা,সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকে স্মারকলিপি

সংবাদ  বিজ্ঞপ্তি:
নারীর প্রতি চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেনকে স্মারক লিপি দিয়েছে যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক কক্সবাজার।
২৮ জুন মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসককের দপ্তরে গিয়ে তাকে দেয়া স্মারকলিপিতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে যৌন হয়রানি, নারী নির্যাতন, অপহরণ, ধর্ষণসহ পারিবারিক সহিংসতার শিকার সংক্রান্ত নারীর সহিংসতার চিত্র তুলে ধরা হয়।
তারা জানায়, ২০১৬ সালের প্রথম চার মাসে সহিংসতার শিকার হয়েছে ১৫৫৮ জন নারী।
২০১৫ সালের শেষ নয় মাসে সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন ৯১২ জন নারী।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৯৫টি অভিযোগের মধ্যে ধর্ষণ-২৪টি, অপহরণ-১২টি।
ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তথ্যমতে শারিরীক নির্যাতন-১২৪৯টি, যৌন হয়রানি-১৯টি।
আইন সহায়তা কর্মসূচি, ব্র্যাক, কক্সবাজারের তথ্যমতে- পারিবারিক সহিংসতা-৯৭টি।
নারী সহায়তা কেন্দ্র, কক্সবাজারের তথ্যমতে মোট অভিযোগ-১০৮টি, আইনী সহায়তা দেওয়া হচ্ছে-৫৫টি নির্যাতনের ঘটনায়।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে নারীর প্রতি চলমান সহিংসতা ব্যপকমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ও অপহরণের মতো ভয়াবহ ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরী বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন নেটওর্য়াকের আহবায়ক প্রবীন সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, কার্যনিবার্হী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, সাংবাদিক ইমাম খাইর, আনোয়ার হোসান চৌধুরী, শাহেনা আক্তার পাখি, জুলফিকার আলী ভূট্ট, মেজনিন’র সেক্টর স্পেশালিস্ট মাসুদ রানা ও রবিউল ইসলাম প্রমূখ।

পাঠকের মতামত: