বশীকরণ ও ভাগ্য বিষয়ে যারা ফুটপাথে বই বিক্রি করেন, তাদের কাছে পাওয়া যায় নানা বই। তাদের কাছেই মিলতে পারে কাক বিষয়ক কোনো বই। সামান্য দাম নেবে বইটির। কাজ হোক বা নাই হোক, বইটি পড়ে যথেষ্ট আনন্দ মিলবে।
বশীকরণের মন্ত্রে অনেকেরই বিশ্বাস রয়েছে। শিখতে চান বা এর প্রয়োগ ঘটাতে চান। অতি প্রাচীন এসব মন্ত্রে বলা হয়, বশীকরণের কাজে একটি কাক দরকার আপনার। নানা উপায়ে একটি কাকের ব্যবহারে নাকি অনেক উদ্দেশ্য হাসিল করা যায়।
বশীকরণের প্রাচীন গ্রন্থে বেশ কিছু নিয়ম লেখা রয়েছে। বলা হচ্ছে নিচের উপায়গুলো মেনে চললে কোনো নারীকে বশ করা সম্ভব।
১. এমন একটি আমবাগান খুঁজে বের করতে হবে, যেখানে একটি বটগাছ রয়েছে।
২. মঙ্গলবার পূর্ণিমা পড়েছে, এমন তিথিতে ওই বটগাছে উঠে কাকের বাসা খুঁজতে হবে।
৩. সেখান থেকে একটি কাক সংগ্রহ করতে হবে।
৪. কাকটিকে বুকে করে নেমে আসতে হবে। বুক থেকে কাকের স্পর্শ ছিন্ন হওয়া
চলবে না।
৫. কাকটিকে বুকে করে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসতে হবে এবং একটা কালো থলির মধ্যে ভরে ফেলতে হবে।
৬. সারারাত কাকটিকে কালো থলিতে বন্দি রেখে ভোরবেলায় একটি লোহার খাঁচায় পুরে ফেলতে হবে।
৭. এর পরে কাকটিকে পাথরের বাটিতে দই-সন্দেশ মেখে খেতে দিতে হবে। এই পর্যায়ে কোন নারী যেন আপনাকে ও কাকটিকে স্পর্শ না করে।
৮. সন্ধ্যা নামলে কাকটিকে পুনরায় কালো থলিতে পুরে ফেলতে হবে এবং রাতে ওই থলি মাথার কাছে রেখে ঘুমোতে হবে।
৯. পর পর সাত দিন এমন করতে হবে।
১০. অষ্টম দিনে অর্থাৎ শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথির অষ্টম প্রহরে আমবাগানে ফিরে গিয়ে, ওই বট গাছের তলায় দাঁড়িয়ে কাকটিকে হত্যা করতে হবে।
১১. মৃত কাকটির বুক থেকে একটি ছুরির সাহায্যে তার কলিজাটি বের করে নিতে হবে।
১২. মৃত কাকের দেহটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। সমাধির ওপরে গোলাপ জল ছড়িয়ে তার ওপরে তিনটি গোলাপ ফুল রাখতে হবে।
১৩. এবারে কলিজাটি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হবে। পরের পূর্ণিমা পর্যন্ত স্থির চিত্তে অপেক্ষা করতে হবে।
১৪. পরের পূর্ণিমার আগে কলিজাটি শুকিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে তার সঙ্গে এক রতি কেশর ও এক রতি অম্বর মেশাতে হবে। তাতে রক্তচন্দনও মেশাতে হবে।
১৫. চন্দন-অম্বর-কেশর মিশ্রিত কলিজাটিকে ধুপ হিসেবে জ্বালাতে হবে।
১৬. এবারে পোড়া কলিজাটিকে গোলাপ জল ও সিঁদুর দিয়ে একটা লোহর কৌটায় ভরে ফেলতে হবে।
১৭. যে নারীকে বশীভূত করতে চান, তার বাড়ির কাছে কৌটাটিকে পুঁতে ফেলতে হবে।
১৮. সন্ধ্যাবেলায় কয়েক দিন সেই সুন্দরী ওই পথে হাঁটাচলা করলেই ওই নারী আপনার হাতের মুঠোয়।
সূত্র: এবেলা
পাঠকের মতামত: