মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান প্রতিনিধি ঃ
ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে গেল আলীকদমের ভিজিডি চাল চোরাকারবারীরা। গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সবচেয়ে দূর্গম কুরুপ পাতা ইউনিয়নে দুস্থ অসহায় মহিলাদের মাঝে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়। এসময় পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব দুস্থ মহিলাদের কাছ থেকে ৩ বা ২ মাসের স্বাক্ষর নিয়ে ১ মাসের করে চাল দেয় এবং বাকী চাল কালোবাজারে বিক্রয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
অভিযোগের ভিত্তিতে আলীকদম সদর হিন্দু পাড়া গ্রামের জনৈক আব্দুস শুক্কুরের স্ত্রী পারভীন আক্তারের বসতবাড়ি থেকে ১৩ বস্তা ভিজিডি’র চাল আটক করে আলীকদম থানা পুলিশ। এবিষয়ে অভিযুক্ত পারভীন আক্তারকে আসামী করে আলীকদম থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আজমগীর বাদী হয়ে ‘১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১)/ঘ ধারায় আলীকদম থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ০৬, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ইং।
কয়েকজন দুস্থ মহিলা জানান, মূলত যারা ভিজিডি চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে তাদের আসামী না করে ক্রয়কারীকে আসামী করা হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে যারার ভিজিডি’র চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দুস্থ মহিলাদের বঞ্চিত করে আসছেন তাদেরকে কৌশলে আইনের আওতায় আনা হয়নি।
আলীকদম উপজেলার ভিজিডি কর্মসূচীর সমস্বয়কারী ও উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা সুষ্মিতা খীসা ভিজিডি চাল কালোবাজারে বিক্রয় ও জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিজিডি চাল অবৈধ ক্রয়কারীর নামের মামলা করা হয়েছে। কালোবাজারিদের খুজঁছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ও আলীকদম থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক স্বপন চন্দ্র বড়–য়া বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। ধৃত আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নায়েরুজ্জামান বলেন, কিভাবে কালোবাজারে ভিজিডি’র চাল গেল বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঠকের মতামত: