ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

দ্বিতীয় দফায়ও আওয়ামী লীগের বিজয়, সহিংসতায় নিহত ৮

image_152081_0নিউজ  ডেস্ক  :::

ঢাকা: ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিপুল বিজয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সাত উপজেলায় হানাহানির ঘটনায় শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, প্রার্থীসহ আহত হয়েছে কয়েকশ মানুষ।
ভোটকেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেক স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলি ছুড়তে হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৩৩টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে।
প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনেও বিশাল জয় পেয়েছিল ক্ষমতাসীন দলটি। তখনও কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল।

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত ৬৩৯টি ইউপি নির্বাচনের মধ্য এখন পর্যন্ত ৬৩০টির বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ৪৫৩টি, বিএনপি ৫৯টি ও অন্যরা ১১৮টিতে জয়ী হয়েছে।
ইউপি নির্বাচনে এবার প্রথমবারের মত নৌকা ও ধানের শীষসহ দলীয় প্রতীকে ভোট দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বৃহস্পতিবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৩ জন এবং জামালপুর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ ও যশোরে একজন করে মোট ৮ জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
অনিয়ম ও সহিংসতার কারণে ৩৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।

প্রায় অর্ধশত ইউপিতে নির্বাচন বর্জনের খবর পাওয়া গেছে। বর্জনকারীদের বেশিরভাগই বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী।
‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা’ ভোট কেন্দ্র দখল করেছে অভিযোগ করে বিএনপি দুই দফারই পুনর্নির্বাচন দাবি করেছে। জামায়াতে ইসলামী বলেছে, প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে আরো বেশি ভোট ডাকাতি হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগ বলেছে, কোথাও কোথাও সামান্য ত্রুটিবিচ্যুতি হলেও সার্বিকভাবে নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার সুযোগ নেই।
দ্বিতীয় ধাপে ভোটের আগেই আওয়ামী লীগ মনোনীত ৩১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। একক প্রার্থী হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
এর আগে প্রথম ধাপে গত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত ৭০৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫২৭টিতে আওয়ামী লীগ, ৫৩টিতে বিএনপি এবং ১১০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। তখন ৫৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

পাঠকের মতামত: