বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের উপকুল দিয়ে প্রায় ৫ শত কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরী হওয়া স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়কটির শুভ উদ্বোধন আগামী ২২ এপ্রিল। উখিয়া-টেকনাফবাসীর এই স্বপ্নের সড়কটি শুভ উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই সড়কটি একপাশে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, প্রায় ১শ ৪০ কিলোমিটার লম্বা, কোন আঁকা বাঁকা নেই। আগত দেশী-বিদেশী পর্যটকরা মন ভরে দেখতে পারবেন। এই লংবীচ বঙ্গোপসাগরের সাগরের নীল জল রাশির পানির নিত্য। তার পাশাপাশি রয়েছে এই বৃহৎ সড়কটি ঘিরে প্রাকৃতীক দৃশ্যে ঘেরা সবুজ পাহাড়, রয়েছে বিশাল একটি গর্জন বাগান, উপভোগ করতে পাবে সাগরের উপকুলের ঝাউ গাছ গুলোর শুরেলা কন্ঠে মধুর শব্দ। আরো দেখা যাবে লাল কাকড়াদের মিলনমেলা দেখা যাবে হাজার হাজার শামুক ঝিনুকের অপরুপ দৃশ্য। দেখা যাবে কিভাবে গভীর সাগরে ছোট ছোট ডিঙ্গী নৌকা নিয়ে ঢেউয়ের তালে তালে হেলে দুলে মাছ শিকার করছে জেলেরা। এই সমস্ত অপরুপ দৃশ্যগুলো সারা বিশ্ববাসীকে দেখানোর জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাংলাদেশ সেনাবাহীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নেরর সদস্যদের মাধ্যমে এই স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়কটির বাস্তবায়ন শেষ করেছে। বাংলাদেশ সেনা সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম ও নিরলস ভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এই সড়কটি কাজ শেষ করতে সক্ষম হয়েছে।। আগামী ২২ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সড়কটির দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তরা।
সুত্রে আরো জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে লক্ষ্য করে টেকনাফের সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন ও ইনানীতে আলাদা ভাবে দুইটি মঞ্চ তৈরী করার প্রস্তুতি চলছে। তবে এব্যপারে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রশাসনিক ভাবে প্রধানমন্ত্রীর আগমন কত তারিখ উদ্বোধন হবে সেই রকম কোন তথ্য এখনো জানানো হয়নি। এদিকে উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আলহাজ¦ আবদুর রহমান বদির সাথে কথা বলে জানা যায় খুব দ্রুত এবং অল্প কয়েকদিন পর দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়কটির শুভ উদ্বাধন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উখিয়া-টেকনাফবাসীসহ সারা বিশ্বের মানুষের মুখে হাসি ফুটাবেন। এই সড়কটি উদ্বোধন হওয়ার পর হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমনে মুখোরিত হবে উখিয়া-টেকনাফের জনগন। তার পাশাপাশি কম সময়ের মধ্যে পর্যটকরা কক্সবাজার থেকে টেকনাফ ভ্রমন করতে আসতে পারবে। আর মাত্র কয়েকটি বছর পর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বদলে যাবে সৌন্দর্য্যের লীলাভুমি টেকনাফের মানচিত্র।
এদিকে স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়কটি দেখার জন্য প্রতিদিন অত্র এলাকার শত শত সাধারন মানুষ ভিড় জমাচ্ছে টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে, সবার মুখে মুখে একটি শব্দ প্রধানমন্ত্রী কখন আসবে। ২২ তারিখ যদি উদ্বোধন হয়ে যায় তাহলে দেশী-বিদেশী হাজার হাজার পর্যটক আগমন ঘটবে আমাদের এলাকায়। আমরা বিভিন্ন প্রকারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র বিক্রী করে আয় করবো লক্ষ লক্ষ টাকা।
অনুসদ্ধানে আরো জানা যায়, দুই এক বছর আগে এখাকার জমি গুলো খুব কম দাম দিয়ে বিক্রী করতে চাইলেও কেউ ক্রয় করত না। বর্তমানে মেরিন ড্রাইভ সড়ক এলাকার জায়গা গুলোর দাম লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে কোটি টাকায় পরিনত হয়েছে। অনেক দুস্থপরিবারের সদস্যরা সামান্য জায়গা বিক্রী করে আয় করছে লক্ষ লক্ষ টাকা। হঠাৎ গরীবের খাতা বন্ধ করে, নাম লিখিছে ধনিদের খাতায়। এই খুশি এই আনন্দে মুখরিত হয়ে হাসছে অত্র এলাকার মানুষগুলো।
পাঠকের মতামত: