বিশেষ প্রতিবেদক ::
কক্সবাজারে তারকা মানের হোটেল সী-গাল ও প্রাসাদ প্যারাডাইসের দখলে থাকা সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করার কয়েক মাসের মাথায় আবারো জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর দিচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। প্রাশাসনের নাকের ডগায় হোটেল কর্তৃপক্ষ এমন অপরাধ করলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ফলে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। হোটেল কর্তৃপক্ষ সরকারি খাস জমি দখল ও প্রশাসন কর্তৃক দখলমুক্ত করাকে চোরপুলিশ খেলা বলে দাবি করেছেন তারা।
তবে, দখলবাজ যতোই বড় প্রভাবশালী হউক না কেন সরকারি খাস জমি দখল করে বেশিদিন ঠিকে থাকতে পারবে না বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।
তিনি বলেন,ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে সব খাস জমি উদ্ধার করা হবে।
জানা যায়,কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় তারকা মানের হোটেল সী-গাল ও প্রাসাদ প্যারাডাইস সরকারি ৫০ শতক জমি দখলে নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান হোসেন প্রিন্স’র নেতৃত্বে উক্ত জমি দখল মুক্ত করা হয়। কিন্তু দখলমুক্ত করার কয়েকমাসের মাথায় পুনরায় সরকারি জমি আবারো দখল করে নেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় গত বছরের এপ্রিল মাসে আবারো দখল মুক্ত করা হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনের দখলমুক্ত করা সরকারি জমি আবারো দখলে নিতে সীমানা প্রাচীর তৈরি করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
অনেকে মনে করেন, প্রশাসনের দখল উচ্ছেদ এবং হোটেল কর্তৃপক্ষের দখল যেন চোর পুলিশ খেলা। তাদের মতে, প্রশাসন দখল মুক্ত করে দায়মুক্ত হন। এরপরে কি হচ্ছে তা নিয়ে কোন খোঁজখবর নেয়া হয়না। ফলে আবারো সরকারি জমি দখল করে নেয় তারা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হোটেল সী-গাল এবং প্রাস প্যাডাইস কর্তৃপক্ষের নিয়োগ করা শ্রমিকরা জানিয়েছেন গত দেড়মাস ধরে তারা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ করছেন।
এ বিষয়ে জানতে হোটেল সী-গালের সিও রুমী’র মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে এত কিছু বলা যাবে না জানিয়ে প্রতিবেদককে হোটেলে গিয়ে দেখা করতে অনুরোধ জানান।
জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এইচ.এম মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকারি জমি দখল ছেড়ে দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার সতর্ক করা হয়। কিন্তু তারা সরকারি আদেশ আমলে নেয়নি। ফলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আবারো যদি জমি দখলের পায়তারা চালানো হয় তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: