ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফ মাদকদ্রব্য কার্যালয় থেকে পৌনে ২ লাখ ইয়াবা ‘চুরি’

mail.google.comসাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন, টেকনাফ ::

কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় থেকে পৌনে ২ লাখ ইয়াবা খোয়া গেছে। কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, এসব ইয়াবা চুরি হয়েছে। টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা বলেন, ‘গত শনিবার দুপুরে কার্যালয়ে তালা দিয়ে আমি একটি মামলার স্বাক্ষ্য দিতে রাঙ্গামাটি যাই। কার্যালয়ের আরও দুজন কর্মকর্তা সরকারি কাজে একইদিন চট্রগ্রামে যান। রোববার রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কার্যালয়ে চুরি হয়। সোমবার সকালে দরজার তালা ভাঙা দেখে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা বিষয়টি আমাকে জানান। এরপর আমি জেলা মাদকদ্রব্য বিষয়ক কর্মকর্তাকে জানাই।’ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রাঙ্গামাটি থেকে টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তদর কার্যালয়ে পৌঁছান তপন কান্তি শর্মা। তিনি আরও বলেন, ‘কার্যালয়ের আলমারিতে থাকা বিভিন্ন মামলার আলামতের এক লাখ ৮১ হাজার ৯১৩ পিস ইয়াবা ও ২ কেজি গাঁজা চুরি হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার ৯০০ টাকা। এ সময় আলমারিতে ১৩ হাজার ৩০৮ পিস ইয়াবা ছিল।’ খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শফিউল আলম, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজার-২ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ ও জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুবোধ কুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় সুবোধ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘কার্যালয়ে কেউ না থাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।’ স্থানীয়রা জানান, ‘এর আগে উপজেলা পরিষদের প্রাণকেন্দ্রে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের অবহেলায় চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা।’ এ বিষয়ে টেকনাফে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও চুরি হওয়া ইয়াবা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

 ##################

টেকনাফে আইনশৃংখলা টাস্কফোর্স ও মাসিক সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ

সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন,টেকনাফ :::

টেকনাফ উপজেলা আইন শৃংখলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির সভায় টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদ বলেছেন- বর্তমানে টেকনাফ সীমান্তে চোরাইপথে মানব পাচার শুণ্যের কোটায়। তবে নিত্য নতুন কৌশলে এবং রুট পরিবর্তন করে ইয়াবা পাচার হচ্ছে। এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। টেকনাফের দুর্নাম ঘুচাতে ইয়াবা এবং মানব পাচারকারীদের কঠোর হস্তে দমন করতে ও প্রত্যেক ওয়ার্ডের খুচরা ইয়াবা বিক্রেতাদের শাস্তির আওতায় আনতে সকল আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি বিশেষতঃ নবাগত ওসির প্রতি অনুরোধ জানান। সম্প্রতি ৪ লক্ষ পিস ইয়াবা আটকের ঘটনায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন টেকনাফে সকল অপকর্মের নেপথ্যে মুল হোতা রোহিঙ্গা। শুধু পৌর এলাকায় ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবার ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ২৯ ফেব্রুয়ারী টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সভাগুলো অনুষ্টিত হয়। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত মাসিক সাধারণ সভায় তিনি টিআর, কাবিখা, ইজিপিপি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচীর প্রকল্প সমুহ যথাসময়ে সুষ্টভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন আগামী ২২ মার্চ টেকনাফের ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। প্রচারনা চলাকালে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে বিরোধ থাকা স্বাভাবিক। যাতে কোন প্রার্থী হয়রানীর শিকার না হয়, সকল প্রার্থী নিরাপদে প্রচারণা এবং নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সে জন্য প্রশাসনকে অবশ্যই নিরপেক্ষ ভুমিকা রাখতে হবে। তাছাড়া সভায় উঞ্চিপ্রাং জিরো পয়েন্টের সন্নিকটে প্যারাবন উজাড় করে জবর দখল, খুচরা ইয়াবা বিক্রি, বাল্য বিবাহ, পাগলা পানি, মাদক অফিসে চুরি, টিকাদান কর্মসুচী, ওয়ান পার্সেন্টের প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা, রিটার্নিং অফিসারের অফিসে নিরাপত্তা জোরদার, যথাযথ ভাবে পুশব্যাক, ঢালায় জঙ্গল কাটা ইত্যাদি বিষয়ে এবং দপ্তরওয়ারী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় টেকনাফ পৌর মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ রফিক উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিস তাহেরা আক্তার মিলি, মডেল থানার নবাগত ওসি আবদুল মজিদ, সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপির আমির হোসেন মেম্বার, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আফছার উদ্দিন, সিনিয়র মৎস্য অফিসার ছৈয়দ হুমায়ুন মোর্শেদ, টেকনাফ ৫০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল, শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর, ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ নুরুল আবছার, সমবায় অফিসার শামসুল আলম কুতুবী, পরিবার পরিকল্পনা অফিসার শ্রুতি পুর্ণ চাকমা, কৃষি অফিসের পিপিআই আলী আহমদ, সমাজ সেবা অফিসার সিরাজ উদ্দিন, জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী, নায়েক সুবেদার কাজী রকিবুল হাসান, কোস্টগার্ডের মোঃ শাহাবুদ্দিন, আনসার ভিডিপি অফিসার মিসেস হ্লাম্যাছা, মিডিয়াকর্মী, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন এবং আলোচনায় অংশ নেন। প্রথমোক্ত ২টি সভার সভাপতিত্ব করেন ইউএনও মোঃ শফিউল আলম এবং শেষোক্ত সভার সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদ।

পাঠকের মতামত: