অনলাইন ডেস্ক :: সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মুক্তি চেয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ বীর বিক্রম।
আজ বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি তাদের মুক্তি দাবি করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। সরকার অন্যায়ভাবে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পওয়ারসহ প্রবীণ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে, যা আইন বর্হিভূত কাজ।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা জামায়াতে ইসলামী শর্ত পূরণ না করায় নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের জন্য দলটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যার পুলিশের একটি দল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয় ভাটারা থানায়।
তাদের গ্রেপ্তারের পর ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সোমবার বলেছিলেন, গোপন বৈঠক করার সময় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে যেসব আলামত পাওয়া গেছে, সেগুলো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এলডিপি চেয়ারম্যান অলির দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে বসে তাদের পার্টির কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এতে দোষনীয় কিছু নেই।
সাবেক এই বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমানে দেশে একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েম হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সব ধরনের অন্যায় অবিচারের পরিণতি কখনো ভালো হয় না। আমি আশা করি, সরকার এই সত্য উপলব্ধি করে অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলসহ আটক সকলকে মুক্তি দেবেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় ২০ দল বা বিএনপির পক্ষ থেকে আলাদাভাবে কোনো বিবৃতি এখনও দেওয়া হয়নি।
তবে মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া এক বিবৃতিতে ‘বিরোধী দলের’ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে। সেই বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অথবা জামায়াত নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
পাঠকের মতামত: