চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসকের ওপর প্রতিপক্ষের হামলার জেরে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাত ১২ টার থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের এ কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চমেক প্রধান ছাত্রবাসে দু’গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ওসমান ফরহাদ ও চমেক ছাত্র সংসদের (চমেকসু) সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিককে ফোন করে চকবাজার থানার একজন এসআই জানান, লিখিত অভিযোগে আরেকটি স্বাক্ষর করতে হবে, তারা যেন দ্রুত থানায় চলে আসেন।
রাত পৌনে ১১ টার দিকে স্বাক্ষর শেষে চলে যাওয়ার পথে চকবাজার জয়নগর ১ নম্বর গলির মুখে ২৫-৩০ জনের মত চমেকের ছাত্র তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দু্ইজন গুরুতর আহন হন।
চমেক হাসপাতাল ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. তাজোয়ার রহমান খান জানান, আমাদের ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ওসমান ফরহাদ ও চমেক ছাত্র সংসদের (চমেকসু) সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিকের হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ চিকিৎসক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে রাত ১২ টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারায় একের পর এক চিকিৎসক মারধরের শিকার হচ্ছেন। আমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তাসহ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছি।
উভয়পক্ষের একাধিক জন আহত হওয়ার পর চমেক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছাত্রাবাস খালি করে পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে উভয়পক্ষ চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
পাঠকের মতামত: