ইমাম খাইর, কক্সবাজার :: সামাজিক দূরত্ব বজায় ও লোকসমাগম এড়িয়ে চলতে সরকারী নির্দেশনার মাঝেও অনেকটা সমাবেশের আদলে সালিশ কার্য সম্পাদন করলেন চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান।
রবিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে ইউনিয়নের মছন সিকদার পাড়ায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষকে ডেকে সালিশে বসেন চেয়ারম্যান।
তবে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার এমন কঠিন পরিস্থিতিতে তার বিচার কার্য নিয়ে এলাকায় তুমুল সমালোচনা চলছে। স্থানীয় অধিকাংশ বাসিন্দা এটিকে নেতিবাচক হিসেবে নিয়েছে।
সকাল থেকে হারবাং এলাকার অসংখ্য সচেতন মানুষ কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে মুঠোফোনে অভিযোগ করেছে।
সালিশে গিয়েছে এমন লোকজনও এসব খবর প্রতিবেদককে জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানের কাছে জানতে চাইলে বলেন, মছন সিকদার পাড়া ও মসজিদ মোরার দুইটি যুবক গ্রুপের মধ্যে ক্রিকেট খেলা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। তাই দুইপক্ষকে ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করি। সমাধান নিয়ে উভয় পক্ষই বাড়ি ফিরে।
লোক সমাগম না ঘটাতে সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কেন লংঘন করলেন? প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন, দুই পক্ষই যুবক। ঘটনা নিয়ে সবাই উত্তেজিত। তাদের কেমনে সরিয়ে রাখি? -পাল্টা প্রশ্ন চেয়ারম্যানের!
তবে, চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান আক্ষেপ করে বলেন, সকালে সমাধান হলেও বিকেল আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দুইটি পক্ষ। খবর পেয়ে চৌকিদার পাঠিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানকে ফোন করলে জরুরী মিটিংয়ে থাকায় কথা বলতে পারেন নি।
পাঠকের মতামত: