এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরে ভয়াবহ বন্যায় ও বর্ষা মৌসুমে টানা ভারী বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিএমচর বেতুয়া বাজার বাঘগুজারা সড়কটি ভেঙে হাজারো খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে বিগত আট বছর ধরে ভারী যানবাহন চলাচল ও স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে প্রায় লক্ষাধিক জনগোষ্টি।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের কারণে এতে সবচেয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বিএমচর ইউনয়নের জনসাধারণসহ ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী আরও তিন ইউনিয়নের জনসাধারণ। বৃষ্টি হলেই সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়ত করা বড়ই দুর্বিসহ হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটি সংশ্লিষ্ট দপ্তর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বড় বড় গর্ত ও খানা-খন্দক ভরপুরে পরিণত হয়ে বর্তমান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গাড়ী চলাচল তো দূরের কথা স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে চলাফেরা করাও দায় বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, চকরিয়ার উপকুলীয় এলাকার তিনটি ইউনিয়নের যাতায়তের জনগুরুত্বপূর্ণ একমাত্র প্রধান সড়ক হচ্ছে চিরিংগা জনতা মার্কেট-বিএমচর -বাগগুজারা সড়ক। খানা-খন্দক ভরা এ সড়ক দিয়ে নিত্যদিন ১০ থকে ১৫ হাজার লোক যাতায়ত করে। চকরিয়া পৌরশহর থেকে বাগগুজারা ব্রীজ পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কের দুরত্ব হচ্ছে প্রায় ৮ কিলোমিটার। সড়ক ও জনপদ বিভাগের খাম খেয়ালিপনা ও চরম অবহেলার কারণে বর্তমান সড়কের এ ভগ্নদশা পরিণত বলে দাবী করেছে এলাকার জনসাধারণ।
সড়কের আট কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে কয়েক কি:মি রাস্তা সংস্কার করেন। রাস্তার বাকী অংশটুকু কাজ না করার ফলে যাতায়তের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। প্রতিদিন কম করে হলেও প্রায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র-ছাত্রীরা সড়ক দিয়ে যাতায়তের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু সড়কটি দ্রুত মেরামতের ব্যাপারে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোন ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে না।এ নিয়ে এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের মাঝে দেখাগেছে এক ধরণের চাপা ক্ষোভ।
উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘ এক যুগের কাছাকাছি ধরে অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের অভাবে হাজারো গর্ত ও খানা-খন্দক পরিণত হয়। উপকূলীয় কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম বিএমচরের এ সড়ক। বিগত কয়েকটি বন্যায় সড়কটির অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সড়কটি দ্রুত সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। তারা সড়কটি মেরামতের ব্যাপারে বরাদ্ধ প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুত কাজ শুরু করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চকরিয়াস্থ উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু এহেছান মো. আজিজুল হক বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্ধ প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুত কাজ করা হবে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: