এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ফের সংক্রিয় হচ্ছে গরু চোর চক্রের সদস্যরা। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন গরু মালিকেরা। শুক্রবার দিনদুপুরে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গাড়িতে তুলে পালিত দুইটি গরু নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে চলে যাওয়ার পথে পিকআপসহ চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওইসময় জনতায় সহায়তায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গরু দুইটি উদ্ধার করেছে। উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মুকিয়াঘোনা এলাকা থেকে গরু চুরির ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় গরু মালিক ওই এলাকার নুরুল আজিমের স্ত্রী ইসমত আরা বেগম বাদি হয়ে শনিবার চকরিয়া থানায় গ্রেফতারকৃতসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের ৫ সদস্য হলেন চকরিয়া উপজেলার বেতুয়াবাজারস্থ নয়াপাড়া গ্রামের আবদুস ছালামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২), চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাহলী এলাকার মো.রফিকের ছেলে জসিম উদ্দিন (১৯), একই উপজেলার শিকলবাহা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে নেজাম উদ্দিন (১৯), একই এলাকার জাফর আলমের ছেলে হৃদয় (১৯) ও মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে ওবায়দুল হক সোহেল (১৯)।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শুক্রবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে বাড়ির সামনে জমিতে ঘাস খেতে পালিত দুইটি গরু বেঁেধ দিয়ে কাজ করতে যান গৃহকর্ত্রী ইসমত আরা। কাজ শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি এসে দেখতে পান গরু দুইটি নেই। কিছুক্ষন পর লোকমুখে জানতে পারেন তাঁর বাড়ির অনতিদুরে আলীপুর এলাকায় জনগন দুইটি গরুসহ একটি পিকআপ গাড়ি এবং গাড়িতে থাকা ৪-৫জন ব্যক্তিকে আটক করেছে।
ওসি বলেন, ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম ছাত্তার আমাকে জানালে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দলকে পাঠানো হয়। পরে পুলিশ চুরি হওয়া গরুসহ পিকআপ গাড়ি এবং ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেন। খবর দেয়া হলে থানায় উপস্থিত হয়ে কৃষাণী ইসমত আরা বেগম দুইটি গরু তাঁর বলে সনাক্ত করেছেন।
থানার ওসি মো.বখতিয়ার চৌধুরী বলেন, চুরির এ ঘটনায় গরু মালিক ইসমত আরা বেগম বাদি হয়ে শনিবার চকরিয়া থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হলেও মামলার এজাহারনামীয় আসামি চোরদের গ্যাং লিডার চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকার আলমগীর মাঝির ছেলে জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতারে চেষ্ঠা চলছে।
পাঠকের মতামত: